Women’s Day 2025 in India: স্বামী জুতো সেলাইয়ের কাজ করতেন। ৩০ বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয়। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চলছিল খুবই কষ্টে। মেয়ে বড় হয়ে বিয়ে হয়ে যায়, দুই ছেলেও বিয়ে করে সংসার শুরু করে। তবে সেই সংসারে ঠাঁই হয়নি মা দয়মন্তীর। ছেলে-মেয়ের কাছ থেকে আশ্রয় হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন প্রৌঢ়া। শেষমেশ স্বামীর পেশাকেই কাঁধে তুলে নিয়ে শুরু হয় জুতো সেলাইয়ের কাজ। মহিষাদলের বাবুহাট বাজারে রাস্তার ধারের ফুটপাতে জুতো সেলাই করেই দিন গুজরান হচ্ছে মহিলার। মহিষাদলের বাবিরহাটের ৫৫ বছর বয়সী দময়ন্তী দাস। বর্তমানে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে একটি অস্থায়ী ঝুপড়িতে দিন কাটাচ্ছেন দয়মন্তীদেবী।
প্রৌঢ়ার কথায়, "স্বামীর মৃত্যুর পর কোনও রকমে সংসার চলছিল। ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে ওঠার পর তাঁরা তাঁদের মতো সংসার শুরু করে। আমি তাঁদের কাছে এখন বোঝা। ওঁদের সংসারে আমার ঠাঁই হয়নি। বেঁচে থাকার জন্য স্বামীর কাজকেই আঁকড়ে ধরেছি। যা উপার্জন হয় তাতে কোনও রকমে আমার পেট চলে যায়। তবে জানি না আর কতদিন এই কাজ করতে পারব?"
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী রতন মাইতির দোকানের সামনেই জুতো সেলাইয়ের কাজ করেন দময়ন্তীদেবী। সেই রতন মাইতি বলেন, "আমি গত ১৭ বছর ধরে দেখছি আমার দোকানের পাশে চট পেতে সকাল-বিকাল জুতা সেলাইয়ের করে চলেছেন"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'মাফ করুন! এই কোর্টে আর মামলা নয়', বিচারপতিকে বললেন কল্যাণ, হাইকোর্টে নজিরবিহীন ছবি
এলাকারই এক বাসিন্দা কার্তিকচন্দ্র মিশ্র বলেন, "পরিবারটি খুবই গরিব। জুতো সেলাই করার কাজ করতেন ওঁরা। বর্তমানে ছেলে-মেয়েরা এই কাজ আর করতে চায় না। নিজের সাংসার চালাতে স্বামীর পেশায় যুক্ত হয়ে পেট চালাচ্ছেন দয়মন্তী। কোনও কাজই তো ছোট নয়। সেটা ফের প্রমাণ করেছেন তিনি।"
আরও পড়ুন- Govt Employees: সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর! হোলির আগেই মোটা টাকা মাইনে বাড়তে পারে
মহিষাদলের তৃণমূলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, "পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। রাজ্য সরকারের বিধবা ভাতার পরিষেবা পাচ্ছেন উনি। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে উনি বাড়ি পান সেই চেষ্টা করছি।"
আরও পড়ুন- TMC Unique Voter Id News:আধার কার্ডের মতোই ভোটার ID কার্ডেও ইউনিক নম্বর সংযোজনের দাবি, স্মারকলিপি জমা তৃণমূলের