/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/21/290-student-back-from-iran-2025-06-21-14-23-59.jpg)
দেশে ফিরল ২৯০ পড়ুয়া
Indian Returns From Iran: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের মধ্যে দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত! ভারতের জন্য আকাশসীমা খুলে দিল ইরান, বিরাট তৎপরতায় দেশে ফিরল ২৯০ জন পড়ুয়া।
আরও পড়ুন- সাতসকালে আঁতকে ওঠার মতো দৃশ্য! BJP-র যুবনেতার এমন পরিণতিতে শিউরে ওঠেন প্রতিবেশীরাও
যুদ্ধবিধ্বস্ত পশ্চিম এশিয়ায় যখন একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে, তখন ভারতীয় ছাত্রদের দেশে ফেরত পাঠাতে এক দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিল ইরান। ভারতের অনুরোধে তারা তাদের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে, ফলে ২৯০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে ইরান থেকে নিরাপদে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এই মিশন পরিচালিত হয়েছে ভারত সরকারের ‘অপারেশন সিন্ধু’-র অধীনে। ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জেরে ইরানের বিভিন্ন শহরে বহু ভারতীয় আটকে পড়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই ভারত শুরু করে 'অপারেশন সিন্ধু’-র অধীনে উদ্ধার অভিযান।
আরও পড়ুন- সূত্রের খবরে অতর্কিতে সাঁড়াশি অভিযান, দুরন্ত হানায় বড়সড় গ্রেফতারি
গত ৯ দিন ধরে ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে দুই দেশ একে অপরকে লক্ষ্য করে চালিয়ে যাচ্ছে মিসাইল হামলা। তেহরান থেকে তেল আবিব পর্যন্ত বিস্তৃত এই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিদিনই চলছে মৃত্যু ও ধ্বংসলীলা। এই পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
আরও পড়ুন- সর্ষের মধ্যেই মস্ত ভূত! ভোজ্যতেলের নামে দিনের পর দিন কী বিষ খাচ্ছেন জানেন?
যুদ্ধ চলাকালীন, ইরান ভারতের জন্য বিরাট কৌশলগত ঝুঁকি নিয়েছে। ইজরায়েলি বোমা বর্ষণের মধ্যেও তাদের আকাশসীমা ভারতের জন্য খুলে দেয়, যার ফলে বিশেষ বিমানের মাধ্যমে ২৯০ জন ভারতীয় পড়ুয়া মাশহাদ থেকে সরাসরি দিল্লিতে পৌঁছান। অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীরের। ভারতের বিদেশমন্ত্রক ও ইরানের সমন্বয়ে এই উদ্ধার কার্য সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে তেহরান থেকে মাশহাদে তারপর ইরানি বিমান সংস্থার ফ্লাইটে দেশে ফেরানো হয়।
আরও পড়ুন- ভয়াবহ বিপত্তি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে!
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতেই তুর্কমেনিস্তান থেকে আরও একটি বিমান দিল্লিতে আসবে, যাতে প্রায় ১,০০০ ভারতীয় নাগরিক থাকবেন। তাদেরও ‘অপারেশন সিন্ধু’-র আওতায় দেশে ফেরানো হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর ছাত্র ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,“ভারত সরকার, বিদেশ মন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এই তৎপরতা এবং সহযোগিতার ফলে বহু পরিবার আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে।”