ইস্পাত কঠিন লড়াইয়ে তাক লাগানো সাফল্য, ৫৪ লক্ষ মাইনের চাকরিতে স্বপ্নপূরণ বঙ্গ তনয়ার

হুগলির ব্যান্ডেলের মেয়ে হলেও ২০২২ সাল থেকে পড়াশোনার সূত্রে জলপাইগুড়ি শহরকে আপন করে নিয়েছেন তানিয়া। কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান ডঃ সুভাষ বর্মন বলেন, 'ভবিষ্যতে তানিয়ার মতো অনেকের স্বপ্নপূরণ হবে।’

হুগলির ব্যান্ডেলের মেয়ে হলেও ২০২২ সাল থেকে পড়াশোনার সূত্রে জলপাইগুড়ি শহরকে আপন করে নিয়েছেন তানিয়া। কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান ডঃ সুভাষ বর্মন বলেন, 'ভবিষ্যতে তানিয়ার মতো অনেকের স্বপ্নপূরণ হবে।’

author-image
Sandip Sarkar
New Update
jalpaiguri-engineering-student-tania-bandyopadhyay-microsoft-job

অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তিতেই স্বপ্নপূরণ তানিয়ার

 মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট-এ চাকরি পেলেন জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।  বার্ষিক ৫৪ লক্ষ টাকার প্যাকেজে তিনি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। 

Advertisment

চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফলাফল? কবে নিয়োগ? রইল ব্রেকিং আপডেট

হুগলির ব্যান্ডেলের মেয়ে হলেও ২০২২ সাল থেকে পড়াশোনার সূত্রে জলপাইগুড়ি শহরকে আপন করে নিয়েছেন তানিয়া। ছাত্রীর এই সাফল্যে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান ডঃ সুভাষ বর্মন বলেন, ‘শ্রেয়ার পর তানিয়ার সাফল্য আমাদের গর্বিত করেছে। কম্পিউটার সায়েন্সের প্রত্যেক পড়ুয়ার লক্ষ থাকে গুগল কিংবা মাইক্রোসফট-এ কাজ করার। আশা করছি, ভবিষ্যতে তানিয়ার মতো অনেকের স্বপ্নপূরণ হবে।’

Advertisment

ফের মহাকাশের বুক চিঁড়ে দাপট দেখাতে প্রস্তুত ইসরো, ‘বাহুবলী’ মিশন ঘিরে উচ্ছ্বাসে ভাসছে ১৪০ কোটি দেশবাসী

তানিয়া এখন কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। তিনি বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিকের পর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সুযোগ পাই। অন্য কলেজের পাশাপাশি এই কলেজেও পড়ার সুযোগ আসে। তবে ভালো প্লেসমেন্টের পাশাপাশি এখানে কোডিং ক্লাব থাকায় মনে হয়েছিল, এটা সাফল্যের দিকে একধাপ এগিয়ে গেলাম। প্রাক্তনীদের সাহায্যে কেরিয়ার পোর্টালের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় অ্যাপ্লাই করতে শুরু করি। সুযোগ আসে মাইক্রোসফটের নয়ডার অফিসে ইন্টার্নশিপ করার। তখনই ইন্টারভিউ হয়। দু’দিন আগে অফারলেটার পাই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেওয়ার। অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। স্বপ্নপূরণ হল।’ 

ঘন ঘন টেনশনে ভুগছেন? এই ৫টি উপায় মানসিক শান্তি মিলবে, হাতে নাতে ফল পাবেন

তানিয়া জানান, ২০২৬ সালে তাঁর পঠনপাঠন শেষ হবে। এরপর তিনি হায়দরাবাদের অফিসে যোগ দেবেন। প্রাক্তনীদের পাশাপাশি কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপকদের কুর্নিশ জানিয়েছেন তানিয়ার এই সাফল্যকে। 

মাইক্রোসফটে ইন্টার্নশিপের আগে গুগলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তানিয়ার বাবা এক শিল্পকারখানায় কাজ করেন। মা গৃহবধূ। মা সংগীতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কলেজের অধ্যাপকদের অবদান ভোলার নয়। ইন্টার্নশিপ চলাকালীন ক্লাসে কী হচ্ছে, সব বিষয়ে ওকে সাহায্য করতেন। আমরা ওর সাফল্যে খুব খুশি।’

একটাকাও বিনিয়োগ নয়! এই ১০ উপায়ে হবেন কোটিপতি, জানুন গোপন রহস্য

চলতি বছরে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসিং-এ বসে প্রায় দেড়শোর বেশি পড়ুয়া বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ক্যাম্পাসিং-এ প্রথমবারের জন্য হাজির হয় ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের (বেল) মতো সরকারি সংস্থা।

Success Story