cyber crime awareness: সাইবার অপরাধ (Cyber Crime) নিয়ে জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অভূতপূর্ব একটি উদ্যোগ জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের (Jalpaiguri Police District)। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর ডিআইবি এবং মিডিয়া সেল বিরাজ উপপাধ্যায় সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ফোনে কীভাবে সাইবার অপরাধীরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাঁর সর্বস্ব লুঠ করছে, সেই ব্যাপারেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার অপরাধের 'টেকনিক' নিয়ে সচেতন করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। সচেতন এবং সতর্ক না হলে কীভাবে মানুষ সর্বশান্ত হতে পারেন সেই ব্যাপারেও বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন পুলিশের ওই কর্তা।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে বিরাজ উপাধ্যায় ইন্সপেক্টর ডিআইবি এবং মিডিয়া সেল ওই ভিডিও-য় জানিয়েছেন, সাইবার অপরাধীরা সাধারণত কোনও এক ক্যুরিয়র সংস্থার নাম নিয়ে ফোন করতে পারে। আপনাকে সে জানাবে, যে পার্সেলটি বিদেশে পাঠাচ্ছেন সেটি দিল্লি, মুম্বই কিংবা অন্য কোনও শহরের পুলিশ কিংবা কাস্টমস বিভাগ আটক করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন পার্সেল আপনি পাঠাননি একথা পাল্টা জানাবেন অনেকেই। এরপরেই আপনাকে জানানো হবে ওই পার্সেল পাঠানোর জন্য আপনার তথ্য কিংবা আপনার কোনও ডকুমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেকেই একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং কীভাবে এ থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে সেই চিন্তা করতে থাকেন।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: সন্দেশখালির নির্যাতিতার বাড়িতে পুলিশ পাহারার নির্দেশ হাইকোর্টের
পুলিশের ওই কর্তা সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে আরও জানিয়েছেন, কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বুঝলেই এরপর ক্যুরিয়র কোম্পানির নামে ফোন করা ব্যক্তিটি ফোনটি অন্য একজনকে ট্রান্সফার করে দেবে। সেই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ কিংবা কাস্টমসের অফিসার বলে দাবি করবে। এমনকী সাধারণ মানুষের বিশ্বাস জিততে সম্প্রতি তিনি আধার কার্ড হারিয়েছেন কিংবা আধার কার্ড কোথাও ব্যবহার করেছেন কিনা সেই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রায় সব পরিষেবা পেতেই আধার কার্ডের প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষজন জানাবেন যে তাঁরা আধার কার্ডটি অন্য কাজে ব্যবহার করেছেন। তখনই আপনাকে বলা হবে কোনওভাবে আপনার আধার কার্ডের তথ্য হ্যাক করা হয়েছে কিংবা লিক হয়েছে। এবার আপনার বিরুদ্ধে মামলাও হয়ে গেছে। তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হবে আপনাকে।
এরপরেই আপনার কত টাকা কীভাবে-কোথায়-কোথায় রাখা আছে, কোথায় কী কী পলিসি আছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবে ওই ভুয়ো পুলিশ কিংবা কাস্টম অফিসার। বিপত্তি এড়াতে সেই সমস্ত টাকা নির্দিষ্ট কোন ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে বলা হবে। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের ওই কর্তা জানিয়েছেন এই ট্রান্সফারটি করলেই সব শেষ। কেউ যদি এই টাকাটা পাঠিয়ে ফেলেন তাহলে জানবেন সব সম্পত্তি আপনি দুষ্কৃতীদের হাতে তুলে দিলেন। সবাইকে আশ্বস্ত করে পুলিশের এই কর্তা জানিয়েছেন, এমন কোন ফোন কল পেলে তাতে সাড়া দেবেন না। যে কাজ আপনি করেননি সেই কাজের জন্য ভয় পাবেন না। প্রয়োজনে দ্রুত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন- West Bengal Weather: পৌষ শেষে নামছে পারদ, দিন কয়েকেই ভয়াল শীতে কাঁপবে বাংলা?