বর্ধমানের চাটুজ্জে বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিরাট চমক, কাহিনী শিহরণ জাগাবে

পরিবারের কর্তা দিলীপ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে সৌমাল্য চট্টোপাধ্যায় পরবারের সবাইকে নিয়ে বংশের আরাধ্য দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো অর্চনা সারেন। পরিবারের কন্যা রুনা চট্টোপাধ্যায় জানালেন ,“দেড়শো বছরেরও বেশী সময়কাল ধরে তাঁদের বাড়ির মন্দিরে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো হয়ে আসছে।

পরিবারের কর্তা দিলীপ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে সৌমাল্য চট্টোপাধ্যায় পরবারের সবাইকে নিয়ে বংশের আরাধ্য দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো অর্চনা সারেন। পরিবারের কন্যা রুনা চট্টোপাধ্যায় জানালেন ,“দেড়শো বছরেরও বেশী সময়কাল ধরে তাঁদের বাড়ির মন্দিরে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো হয়ে আসছে।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
jamalpur-jagadhatri-pujo-chattopadhyay-family-tradition

বর্ধমানের চাটুজ্জে বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিরাট চমক

পৌরাণিক ব্যাখ্যা অনুয়ায়ী দেবী জগদ্ধাত্রীর সেবক হলেন ব্যাসদেব ও নারদ মুনি। সেই ব্যাখ্যাকে মান্যতা দিয়ে দেবী জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে তাঁর দুই সেবক ব্যসদেব এবং নারদ মুনিরও পুজো পাঠ হয় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কালীতলা এলাকার  চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে।এক আধ বছর ধরে চটোপাধ্যায় বাড়িতে এইভাবে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে এমনটা নয়।পারিবারিক রীতি ও ষোড়শ উপাচার মেনে দেড়শো বছরেরও বেশী সময়কাল ধরে এভাবেই এ বাড়িতে জগদ্ধাত্রীর পুজো হয়ে আসছে।পারিবারিক পুজো হলেও শক্তির এই দেবীর আরাধনা মাতোয়ারা হয় গোটা গ্রাম। 

Advertisment

তিন বছর লড়াইয়ের পর বড় জয়! ১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে সুপ্রিম রায়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল

জামালপুরের কালীতলা পাড়ায় বসবাস বনেদি চট্টোপাধ্যায় পরিবার। এই পরিবারের কেউ ডাক্তার ,কেউ উকিল,আবার কেউ সরকারী উচ্চ পদে চাকুরি করেন।কর্মসূত্রে বছরের বেশীরভাগ সময়টা পরিবার সদস্যরদের কলতাকায় থাকতে হয়।তবে জগদ্ধাত্রী পুজোয় সময় পরিবারের সকল সদস্য নিজেদের পৈতৃক বাড়িতে চলে আসেন । সাবেকি বাড়ির এক পাশে রয়েছে দেবী জগদ্ধাত্রীর মন্দির।মন্দিরের চারপাশ জুড়ে যেখানেই চোখ যাবে সেখানেই শিল্প নৈপুণ্যতার ছোঁয়া চোখে পড়বে।।আরাধ্য দেবীর পুজোতে শ্রদ্ধা ও  ভক্তিবাবের কোন খামতি রাখেন না পরিবার সদসরা । 

Advertisment

“ওদেরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল”, মহিলা ক্রিকেটার নিগ্রহে বিজেপির মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড়

পরিবারের কর্তা দিলীপ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে সৌমাল্য চট্টোপাধ্যায় পরবারের সবাইকে নিয়ে বংশের আরাধ্য দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো অর্চনা সারেন। পরিবারের কন্যা রুনা চট্টোপাধ্যায় জানালেন ,“দেড়শো বছরেরও বেশী সময়কাল ধরে তাঁদের বাড়ির মন্দিরে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো হয়ে আসছে। তিনি আরো জানান,“তাঁদের বাড়ির দেবী প্রতিমায় রয়েছে বিশেষত্ব।এক চালার কাঠামোর ত্রিনয়নী দেবী প্রতিমার এক পাশে থাকেন মহাভারতের রচয়িতা ব্যাসদেব,আর অপর পাশে থাকেন নারদ মুনি “। দেবী জগদ্ধাত্রীর দুই পাশে ব্যাসদের ও নারদ মুনিকে স্থান দেওয়ার প্রসঙ্গে রুনা চট্টোপাধ্যায় বলেন ,“পৌরাণিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী ব্যাসদেব ও নারদ মুনি দেবী জগদ্ধাত্রী মায়ের  সেবেক হিসাবেই পরিচিত। জগদ্ধাত্রী পুজোর মন্ত্রেও নারদমুনি ও ব্যাসদেবের কথা উল্লেখ রয়েছে“। 

মমতার বড় জয়! ‘১০০ দিনের কাজে টাকা দিতেই হবে কেন্দ্রকে’, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

সৌমাল্য চট্টোপাধ্যায় বলেন,“আমাদের পরিবারে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরুর  ইতিহাস সেভাবে কেউ লিখে যান নি । তবে পূর্ব পুরুষরা যেমন রীতি ও উপাচার মেনে পুজোর সূচনা করেছিলেন সেই রীতি মেনেই আজও আমরা পুজো করে যাচ্ছি । পূর্বে নবমীর দিন ছাগ বলিদান হলেও এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । পরিবর্তে ছাঁচি কুমড়া বলি দেওয়া হয়। নবমীর দিন মন্দির প্রাঙ্গনে ভোগ অন্ন গ্রহন করেন ভক্তরা। এলাকার প্রর্তিটি মানুষ চটোপাধ্যায় পরিবারের দেবী জগদ্ধাত্রী দেবীর পুজোতে মাতোয়ারা হন’। সৌমাল্য চটোপাধ্যায় এও জানান ,দশমীর পুজো শেষে  দামোদর নদে  হয় তাঁদের বাড়ির আরধ্যদেবী জগদ্ধাত্রী প্রতিমার বিসর্জন ।  

Jagadhatri Puja