ইটবৃষ্টি, মারধর, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, তোলপাড় ফেলা ঘটনায় বিরাট 'অ্যাকশন' পুলিশের

পুলিশকে মারধর এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগে জামালপুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম সমরেশ বাউল ওরফে মিতুন ও পলাশ বাউল।

পুলিশকে মারধর এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগে জামালপুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম সমরেশ বাউল ওরফে মিতুন ও পলাশ বাউল।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
cats

ধৃত সমরেশ বাউল ওরফে মিতুন ও পলাশ বাউল

বাংলায় পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। আবারও ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর। তবে অবশ্য অভিযুক্তরা কেউ রেহাই পায় নি।পুলিশকে মারধর এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগে জামালপুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম সমরেশ বাউল ওরফে মিতুন ও পলাশ বাউল। জামালপুর থানার চাক মোজাফ্ফরপুর এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। পুলিশ শনিবার ভোররাতে বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।

Advertisment

আরও পড়ুন- রাজ্যে মেডিকেল পড়ুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে এবার গর্জে উঠলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী, স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে সোচ্চার জাতীয় মহিলা কমিশনও

সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজুকরে পুলিশ দুই ধৃতকে এদিন বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করে। পুলিশকে মারধরে ব্যবহৃত জিনিসপত্র উদ্ধার করতে এবং ঘটনায় বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। কিছুদিন আগে অস্ত্রপচার হওয়া পলাশের  চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে তার আইনজীবী আদালতে জানান। তা বিবেচনা করে ধৃত পলাশকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। অপর এক ধৃত সমরেশকে ২ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ বিচারক দিয়েছেন। 

Advertisment

আরও পড়ুন- রাজ্যে এমবিবিএস ছাত্রী গণধর্ষণকাণ্ডে আটক সহপাঠী, রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দফতরের

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ঘটনাটি গত ৩ অক্টোবরের। ওইদিন জামালপুর থানা এলাকায় এক নাবালিকার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ চক মোজাফ্ফপুর গ্রামে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে, ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়ি প্রায় ৪০-৫০ জন ঘিরে রেখেছে। চরম বাদানুবাদ চলছে দু’পক্ষের মধ্যে। পুলিশ আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। 

কিন্তু কেউ শান্ত হন না। উল্টে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করা শুরু করে পুলিশকে ঘিরে ধরে। ওই অবস্থার মধ্যেই আচমকা পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশকে মারধর করার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে আরও ফোর্স পাঠানোর পুলিশকর্মীরা থানায় ফোন করেন। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জখম পুলিশ কর্মীদের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়।ভাঙচুর হওয়া থানার গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

আরও পড়ুন-প্রবল কম্পন, হঠাৎ করেই দুলে উঠল সবকিছু, তীব্র ভূমিকম্পে চরম আতঙ্ক পাকিস্তানে

এই ঘটনা বিষয়ে জামালপুর থানার  সাব-ইনসপেক্টর সিরাজ চৌধুরী অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়া, মারধর, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা প্রভৃতি ধারায় ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে থানা। শনিবার দুই অভিযুক্তকে পুলিশ জালে পোরে । পুলিশ বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে। 

burdwan West Bengal Police