Suvendu Adhikari: 'জয় বাংলা' বনাম 'জয় শ্রীরাম স্লোগান' , পাল্টা স্লোগান। একদম মুখোমুখি। খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের সামনে 'জয় বাংলা' স্লোগান তুললেন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক। লুঙ্গি আর টি শার্ট পড়া মাঝবয়সী ওই ব্যক্তির মুখে জয় বাংলা স্লোগান শুনেই ক্ষিপ্ত বিরোধী দলনেতা নিজের গাড়ি থেকে নেমে এসে তেড়ে যান ওই স্লোগান ধারীর দিকে। কেন জয় বাংলা? জয় শ্রীরাম নয় কেন? প্রতি উত্তরে আবার জয় বাংলা শুনেই শুভেন্দু আরও জোরে বলে ওঠেন জয় শ্রীরাম। ঘটনাস্থল খানাকুল থানার অন্তর্গত হেলান বাসস্ট্যান্ড।
এদিন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে কন্যা সুরক্ষা অভিযান কর্মসূচি উপলক্ষে পুড়শুড়া আসছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রকাশ্য রাস্তায় এই বাগবিতন্ডা দেখে পথচলতি মানুষজন উৎসুক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুড়শুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান জানান, জয় বাংলা স্লোগান যে ব্যক্তি দিয়েছিলেন তাঁর নাম মইদুল মুন্সী। তিনি ২০১১ সালে যখন পুড়শুড়ার বিধায়ক ছিলেন তখন এই মইদুল তাঁর ড্রাইভার ছিল। তাই তিনি এনাকে ভালোভাবেই চেনেন।" মইদুল একসময় বেশ কয়েকবছর আমার গাড়ি চালিয়েছে। ওরা প্রায় ৫ পুরুষ ধরে হেলান মুন্সী পাড়ার বাসিন্দা। ওকে বিরোধী দলনেতা রোহিঙ্গা বলেছেন মোটেই ঠিক করেননি। এর জবাব ২০২৬ এ এখানকার মানুষ দিয়ে দেবে " জানান পারভেজ।
এদিন কন্যাসুরক্ষা অভিযান কর্মসূচি অনুযায়ী পুড়শুড়া বিধানসভার অন্তর্গত গৌরাঙ্গপুর থেকে রাধানগর অবধি ২ কিলোমিটার পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। এরপর রাধানগরে রামমোহন রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করে সেখানেই জনসভা করেন। ওই জনসভায় স্থানীয় পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ সহ একঝাঁক বিজেপি নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কৃষকদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, আলুচাষীরা বলুন তো ১২০০ টাকার সার ২৫০০ টাকায় কেনেন কিনা? ওই কালোবাজারিদের সঙ্গে কাদের সম্পর্ক?আলুচাষীরা আলুর দাম পাচ্ছেন? বাজারে ১৬ টাকা কিলো আর কোল্ড স্টোরেজে কেনা হচ্ছে ৮ টাকা করে। আলুচাষীরা কাঁদছে। এই সরকার কৃষককে শেষ করেছে, ব্যবসায়ীকে শেষ করেছে, কোল্ড স্টোরেজকে শেষ করেছে। মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে মাটির কোনো সম্পর্ক নেই চাষবাস নিয়ে কোনো ধারণা নেই। কোনো কান্ডজ্ঞান নেই। হঠাৎ হঠাৎ করে বর্ডার আটকে দেয়। আলু বাইরে যেতে পারেনা। এই মুখ্যমন্ত্রী বিন তুঘলকেরও ওপরে। যা মনে আসে তাই করেন। এই সরকারকে সরাবেন না? আলু চাষীদের এলাকায় এসে চাষীদের ক্ষোভ উস্কে দেন শুভেন্দু।