ফোন পেয়েই বুক কেঁপে ওঠে মায়ের, ছুটে গিয়েও শেষরক্ষা হল না, না ফেরার দেশে আদরের অপূর্ব

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত বালকের নাম অপূর্ব হাজরা (১২)। সকালে ভাইয়ের সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হয় তার। সেই রাগে ও অভিমানে মা সাগরিকা হাজরার উপরও ক্ষোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় অপূর্ব।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত বালকের নাম অপূর্ব হাজরা (১২)। সকালে ভাইয়ের সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হয় তার। সেই রাগে ও অভিমানে মা সাগরিকা হাজরার উপরও ক্ষোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় অপূর্ব।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jibonti-malda-boy-suicide-mobile-tower

ঘটনায় শিউরে উঠছেন গোটা বাংলার মানুষ।

ক্ষণিকের রাগ, আর তাতেই শেষ হয়ে গেল  শিশুর জীবন। কান্দির জীবন্তি গ্রামে শোকের ছায়া। মায়ের চোখের সামনে ঘটে গেল ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু।ঘটনায় শিউরে উঠছেন গোটা বাংলার মানুষ। 

Advertisment

ভাইফোঁটায় সাড়া ফেলা আয়োজন, নজিরবিহীন উদ্যোগের প্রশংসা সর্বত্র

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত বালকের নাম অপূর্ব হাজরা (১২)। সকালে ভাইয়ের সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হয় তার। সেই রাগে ও অভিমানে মা সাগরিকা হাজরার উপরও ক্ষোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়  অপূর্ব। কেউ ভাবতেও পারেনি, এই অভিমানের জেরেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে সে।  

বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অপূর্ব মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়ে। টাওয়ারের চূড়ায় দাঁড়িয়ে ফোন করে মাকে বলে “আমি আর বাঁচব না, আমি টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেব…”। শুনেই বুক কেঁপে ওঠে মায়ের। 

Advertisment

জাত-ধর্ম নির্বিশেষে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে সামিল অনাথ-দুঃস্থ শিশুরা, সম্প্রীতির অনন্য নজিরের সাক্ষী থাকল বাংলা

ভয় আর কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। ছুটে যান জীবন্তি গ্রামের টাওয়ারের কাছে। চোখের সামনে দেখেন তাঁর আদরের সন্তান দাঁড়িয়ে আছে প্রায় কয়েকশো ফুট উঁচুতে। মায়ের কাকুতি-মিনতি, কান্না, অনুরোধ—সব কিছুই যেন হারিয়ে যায় শূন্যতায়।

সাড়ে ১২টার সময়, হঠাৎই অপূর্ব টাওয়ারের চূড়া থেকে লাফ দেয়। নিমেষে মাটিতে আছড়ে পড়ে তার ছোট্ট দেহ। মায়ের সামনে, ছটফট করতে করতে নিথর হয়ে পড়ে থাকে আদরের অপূর্ব। 

তারাপীঠে ধুন্ধুমার, বুক কাঁপানো ঘটনায় তোলপাড়

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কান্দি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। এই ঘটনায় জীবন্তি এলাকায় এখন নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 

বিকট শব্দে প্রবল বিস্ফোরণ, রেললাইন উড়িয়ে দেওয়ার ছক অল্পের জন্য বিরাট দূর্ঘটনা থেকে রেহাই

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,“মোবাইল টাওয়ার এলাকায় কোনো সুরক্ষা নেই। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও টাওয়ার ঘিরে সুরক্ষা বলয় বা প্রাচীর তৈরি করা হয়নি। আজ তারই মাশুল দিতে হলো এক নিরীহ পরিবারকে।”

Suicide