Jyoti Rani Malhotra Bengal Connection: পাক গুপ্তচর জ্যোতির বাংলা যোগ ! কার সঙ্গে যোগাযোগ, কোন কোন স্থানে ভ্রমণ? নজর NIA-এর
Jyoti Rani Malhotra Bengal Connection: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা গ্রেপ্তারের আগে একবার নয়, বেশ কয়েকবার কলকাতায এসেছিলেন।
Jyoti Rani Malhotra Bengal Connection: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা গ্রেপ্তারের আগে একবার নয়, বেশ কয়েকবার কলকাতায এসেছিলেন।
বাংলার বিত্তশালী পরিবারের সঙ্গে বিরাট যোগ পাক গুপ্তচর জ্যোতির! কার বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন?
Jyoti Rani Malhotra Bengal Connection: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে হরিয়ানা পুলিশের হাতে জ্যোতি মালহোত্রার বাংলা যোগ। কার বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি?
Advertisment
ISI-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার বাংলা যোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি কেবল কলকাতাই নয়, উত্তর ২৪ পরগনার নদীয়া এবং ব্যারাকপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন বলেই জানা গিয়েছে। এসবের প্রেক্ষিপ্তে এখন তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরে বাংলার ট্রাভেল ব্লগার। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা গ্রেপ্তারের আগে একবার নয়, বেশ কয়েকবার কলকাতায এসেছিলেন। জ্যোতি কেবল কলকাতাই নয়, উত্তর ২৪ পরগনার নদীয়া এবং ব্যারাকপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাও ঘুরে দেখেছেন। জানা গিয়েছে তিনি নদীয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। জ্যোতি উত্তরবঙ্গের চিকেন নেক'স, অসম সীমান্তও ঘুরে দেখেছেন। জ্যোতির বাংলা সফরের সময় আসানসোলের ট্রাভেল ব্লগার সৌমিত ভট্টাচার্যও তার সাথে ছিলেন। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার পর, জ্যোতি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরেও যান। সেখানে জনপ্রিয় এক রেস্তোরাঁয় বিরিয়ানিও খান তারা। ব্যারাকপুরে সেনা সেনানিবাস এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে।
Advertisment
তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, জ্যোতি মালহোত্রার পোস্ট করা ভিডিওতে সৌমিত ভট্টাচার্য নামে আসানসোলের এক ট্রাভেল ব্লগারকেও দেখা যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে আন্দামানে আছেন। সাংবাদিকদের করা ফোন কলে সৌমিত জানান যে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় তিনি জ্যোতির সাথে দেখা করেছিলেন। উদ্বোধনের এক সপ্তাহ আগে, সৌমিত ব্লগিংয়ের জন্য অযোধ্যা গিয়েছিলেন। সেখানেই জ্যোতির সাথে তার দেখা হয়। সৌমিত আরও জানিয়েছেন, সেই সূত্র ধরে জ্যোতি কলকাতায় এসে তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। ইতিমধ্যে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সৌমিতের সাথে যোগাযোগ করে জ্যোতি সম্পর্কে তার বক্তব্য নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
জানা গেছে, কলকাতায় পৌঁছানোর পর জ্যোতি তার সাথে ব্যারাকপুরের একটি বিখ্যাত বিরিয়ানির দোকানে গিয়েছিলেন। জ্যোতি আর সৌমিত সেখানে একসাথে বিরিয়ানিও খান। জ্যোতি মাত্র তিন মাস আগে কলকাতায় এসেছিল বলেই জানা গিয়েছে। সৌমিত তার সাথে দেখা করতে হাওড়া স্টেশনে যায়। সেখান থেকে জ্যোতি সৌমিতের সাথে ব্যারাকপুরে যান।
সৌমিত ফোনে আরও জানান, বিরিয়ানি খাওয়ার পর, তিনি এবং জ্যোতি ব্যারাকপুর থেকে লঞ্চে করে হুগলির শেওড়াফুলি ঘাটে গিয়েছিলেন। আরেকজন ভ্রমণ ব্লগার মোহিতের বিয়ের পর, জ্যোতি তার সাথে দেখা করতে ট্রেনে লিলুয়ায় এসেছিলেন। জ্যোতি একটি ব্লগে বিয়ের সেই ভিডিওটিও পোস্টও করেছেন।
জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ এবং গোটা ঘটনার বিষয়ে সৌমিত বলেন, কলকাতা পুলিশ - কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা চাইলে, তদন্তে আমি সব রকম ভাবে সাহায্য করব। তিনি আরও বলেন, জ্যোতি পাকিস্তানি এজেন্ট ছিল, আমি এটা জানতাম না। তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি তিনি জানতেন যে জ্যোতির পাকিস্তানের সাথে কোনও সম্পর্ক আছে, তাহলে তিনি কখনও তার সাথে বন্ধুত্ব করতেন না। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন যে জ্যোতি কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকা সম্পর্কে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতিবেশী দেশে পাঠিয়েছেন কিনা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ
এদিকে, জ্যোতির বাংলা সফর সম্পর্কে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার বলেছেন যে, জ্যোতির সফরের তদন্তে যদি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে কোনও ধরণের সাহায্য চায়, তাহলে সব রকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ।
এদিকে সৌমিত আসানসোলে যে আবাসনে থাকতেন সেই আবাসন কমিটির চেয়ারম্যান জয়ন্যাল আবসার বলেন, "ছেলেটির বাবা আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রফেসর ছিলেন। তবে ছেলেটি তেমনভাবে কারুর সাথে মেলামেশা করত না। মাঝেমধ্যে যাওয়া আসা করতে দেখা গেছে। এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিবারটি প্রায় তিন বছরের মত ছিল"। আবাসন সোসাইটির সম্পাদক প্রসেনজিৎ বলেন, ছেলেটির বাবা আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন আমরা তাকেই চিনতাম। ছেলেটি খুব একটা কারোর সাথে মিশতো না প্রায় বছর তিনেক এখানে পরিবারটি ছিল। তবে প্রায় এগারো মাস আগে তারা এখান থেকে চলে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ।