Kargil Vijay Diwas 2025 : 'আমরা কাপুরুষতার জবাব বীরত্বের সাথে দিয়েছি', কার্গিল বিজয় দিবসে হুঙ্কার সেনাপ্রধানের। জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে বলেন, 'ভারতীয় সেনাবাহিনী ৬-৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসীঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, কোনও নিরীহ সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি করা ভারতের উদ্দেশ্য নয়'।
দ্রাসে কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী 'অপারেশন সিন্দুর'প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা কাপুরুষতার জবাব দিয়েছি বীরত্বের সাথে। অপারেশন সিন্দুর আমাদের সংকল্প, বার্তা এবং প্রতিক্রিয়া।” সেনাপ্রধান বলেন যে পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা সমগ্র দেশের জন্য ছিল এক গভীর ক্ষত। কিন্তু এবার ভারত কেবল শোক প্রকাশ করেই থেমে থাকেনি, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামলার জবাব সেই ভাষাতেই দেওয়া হবে"।
জেনারেল দ্বিবেদী জানান, ৬-৭ মে রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল হামলা চালায়, যেখানে কোনও বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, “এটি ছিল কেবল প্রতিক্রিয়া নয়, একটি বার্তা—সন্ত্রাসবাদে মদতদাতাদের আর রেহাই দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও জানান, ৭ থেকে ৯ মে-র মধ্যে পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের পর সেনাবাহিনী মেপে ও সুনির্দিষ্ট কৌশলে পাল্টা জবাব দিয়েছে। সেনাপ্রধান বলেন, “আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন এক দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো—ড্রোন কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র, কোনও কিছুই এই প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে পেরোতে পারবে না।” তিনি উল্লেখ করেন, সেনা, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা যৌথভাবে দেশরক্ষায় কাজ করছে।
বিশেষ বাহিনী গঠন ও আধুনিকীকরণ
সেনাপ্রধান জানান, 'ভৈরব' নামে একটি লাইট কমান্ডো ব্যাটালিয়ন গঠিত হয়েছে, যা সীমান্তে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত। প্রতিটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে এখন ড্রোন প্লাটুন যুক্ত করা হয়েছে। ‘দিব্যস্ত্র ব্যাটারি’ ও ‘লয়েটার মিশন ব্যাটারি’র মাধ্যমে সেনা শক্তি বহু গুণে বাড়ানো হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।
উন্নত ভারতের লক্ষ্যকে সামনে রেখে, সেনাবাহিনী সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত বলেও জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “আমাদের সেনা-পরিবার প্রায় ১.৩ কোটি মানুষের একটি বৃহৎ সম্প্রদায়—যার মধ্যে রয়েছেন কর্মরত জওয়ান, প্রাক্তন সেনাকর্মী, তাঁদের পরিবার এবং শহিদের পরিবার। শুধু সুরক্ষাই নয়, জাতি গঠনে সীমান্তে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”