Khirai and Chapra is two beautiful area of flowers cultivation: পর্যটনের ভরা মরশুম চলছে। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির দল পাড়ি জমাচ্ছে এদিক-সেদিকে। যাবেন নাকি কলকাতার কাছের দুই ফুলের উপত্যকায়? অনেকেরই জানা... আবার অনেকের কাছেই অজানা... বাংলার অনিন্দ্যসুন্দর এই দুই প্রান্ত। এই দুই তল্লাট যেন ফুলেদের আপন স্বর্গরাজ্য! যেদিকে তাকাবেন শুধু ফুল আর ফুল। রংবাহারি ফুলের মালায় সেজেছে গোটা প্রান্ত।
ক্ষীরাই:
কলকাতার কাছেই ফুলের উপত্যকা বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ক্ষীরাইয়ে (Khirai) প্রতি বছর শীত পড়তেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ক্ষীরাইয়ে ফুলপ্রেমী বাঙালি ঢল নামাতে শুরু করেছেন। রাজ্যের অপূর্ব এই প্রান্তের যে দিকে তাকানো যায় শুধু ফুল আর ফুল। এক কথায় ফুলেদের স্বর্গরাজ্য বাংলার এই প্রান্ত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই ক্ষীরাই ফুল উৎপাদনে গোটা দেশের মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা করে নিয়েছে।
বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম ডেস্টিনেশন পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকা। কলকাতা থেকে ঝটিকা সফরে অনেকেই এসে চাক্ষুষ করে যাচ্ছেন ক্ষীরাইয়ের ফুলের উপত্যকার অনিন্দ্যসুন্দর তাকলাগানো সৌন্দর্য্য। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকাই হচ্ছে ফুল চাষ। এ ব্যাপারে সরকারি স্তরে ও মেলে সাহায্য।
কীভাবে যাবেন ফুলেদের স্বর্গরাজ্য ক্ষীরাইয়ে?
কলকাতার কাছেই পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকা। হাওড়া থেকে খড়গপুর কিংবা মেদিনীপুর লোকাল ট্রেন ধরে নিন। ঘন্টা দু'য়েকের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন ক্ষীরাইয়ে। পাঁশকুড়ায় নামলে রেললাইন ধরে কিছুটা হাঁটতে থাকুন। কিছুটা দূরে গেলেই দেখতে পাবেন ফুলেদের স্বর্গরাজ্য ক্ষীরাই। এছাড়াও পাঁশকুড়ায় নেমে টোটো করেও যেতে পারেন ফুলেদের উপত্যকায়।
আরও পড়ুন- Purba Bardhaman News: পুলিশকে চুড়ি পরানোর হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার, বিধায়কের মুখে আরও 'বড় কথা'!
চাপড়া:
ক্ষীরাইয়ের মতোই রংবাহারি ফুলের সমাহার দেখতে পাওয়া যায় বাংলার আর এক প্রান্ত নদিয়ার চাপড়ায় (Chapra)। রানাঘাটের চাপড়াও ফুলের উপত্যকা বলে পরিচিত। যতদূর চোখ যায় শুধু ফুল আর ফুল। এখানেও বিঘার পর বিঘা জমিতে রয়েছে বাহারি ফুলের চাষ। এ যেন এক অন্য পৃথিবী। রাস্তার দু'ধার জুড়ে বিঘার পর বিঘা জমিতে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গাঁদা, জবা সহ-হাজারো ফুলের চাষ করেছেন এখানকার চাষিরা।
কীভাবে যাবেন চাপড়ায়?
শিয়ালদহ মেইন শাখার প্ল্যাটফর্ম থেকে কৃষ্ণনগর লোকাল, গেদে লোকাল, শান্তিপুর লোকাল, রানাঘাট লোকাল ছাড়াও লালগোলা প্যাসেঞ্জার, ভাগীরথী এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে নিন। যে কোনও একটি ট্রেন ধরে পৌঁছে যান রানাঘাটে। স্টেশনের বাইরে দাঁড়ানো টোটো কিংবা ভ্যান কিংবা রিক্সায় চেপে ফুলেদের স্বর্গরাজ্য চাপড়া গ্রামে পৌঁছে যেতে পারবেন। এখানে থাকার জন্যও বেশ কয়েকটি হোটেল, লজ পেয়ে যাবেন। চাইলে একদিন কাটিয়েও আসতে পারেন।