Digital Arrest: প্রযুক্তির দুরন্ত অগ্রগতির সঙ্গেই যেমন জীবন আরও বেশি গতিময় হয়েছে, তেমনই বিপদ বেড়েছে বহুগুণে। ইদানিং ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে বেশ কিছু সতর্কবার্তা দিচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলি। ঠিক এই আবহে কলকাতার নাকের ডগায় ঘটে গেল সাংঘাতিক এক ঘটনা।
একটানা দু'মাস ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট হয়ে গৃহবন্দি হয়ে দিন কাটালেন অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারী। শুধু তাই নয়, কয়েক দফায় মোট ৫২ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। 'আর্থিক তছরূপের মামলায় ডিজিটাল অ্যারেস্ট হয়েছেন দম্পতি', টেলিকম অথরিটির নামে কারও ফোনের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। প্রবীণ দম্পতিকে জানানো হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে CBI। ২৪ ঘন্টা মোবাইল ফোনে ভিডিওকল চালু রাখতে বলে প্রতারকরা।
কিছু না করেও শুধুমাত্র প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন সেটা বুঝতে না পেরেই নিজের বাড়িতেই কার্যত বন্দি দশায় জীবন কাটিয়েছেন এই দম্পতি। এক দু'দিন নয়, একটানা দু'মাস ধরে কাউকে কিচ্ছু জানাননি তাঁরা। প্রতারকদের কথামতো কয়েক দফায় মোট ৫২ লক্ষ টাকা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন তাঁরা। মোট ৬ দফায় তাঁরা ৫২ লক্ষ টাকা প্রতারকদের দিয়েছেন বলে দাবি।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: বদলাচ্ছে নিয়ম, এবার থেকে দশম শ্রেণিতে পাশ না করলেও চিন্তার দিন শেষ
একটানা দু'মাস ধরে ২৪ ঘন্টা ভিডিওকল চালু রাখতে বলেছিল প্রতারকরা। এমনকী বাথরুমেও চলতো নজরদারি। বাইরে থেকে কেউ বাড়িতে এলে তাঁদেরকে 'এন্টারটেইন' না করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রতারকেরা। তাঁদেরও বাড়ি থেকে বাইরে কোথাও যেতেও নিষেধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- Diamond Harbour News: CCU-তে ঢুকে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর 'শ্লীলতাহানি', গ্রেফতার হাসপাতালেরই সাফাইকর্মী
প্রতারণা শিকার চৈতালি হালদার নামে ওই মহিলা জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ছবি ব্যবহার করেছিল প্রতারকরা। সুপ্রিম কোর্টে ভুয়ো শুনানি পর্ব সাজিয়ে তাঁদের প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার দাবি, মোট ৬ দফায় তাঁরা ৫২ লক্ষ টাকা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করার পরই হঠাৎ মোবাইল স্ক্রিন থেকে ভিডিওকল কেটে যায়।
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today: আজ শিবরাত্রি, সকাল থেকে মনোরম আবহাওয়া, বেলা গড়ালেই তুমুল বৃষ্টি?
তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন গত দু'মাস ধরে বিরাট প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাঁরা। সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি দমদম থানায় যান দম্পতি। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের অভিযোগে আমলই দেয়নি দমদম থানার পুলিশ, এমনই অভিযোগ দম্পতির। পরে কয়েকদিন থানার চক্কর কাটার পর তাঁদের অভিযোগ জমা নেওয়া হয়।