Metro Railway, Kolkata: মসৃণ যাত্রী পরিষেবার লক্ষ্যে প্রায়শই নানা পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে কলকাতা মেট্রোরেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। মেট্রোর আরও নয়া সব উদ্যোগে দারুণ সাড়া যাত্রীদের।
কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির বাসিন্দাদের জন্য মেট্রো রেলওয়ে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিবহণ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সময়ের সাথে সাথে আরও বেশি যাত্রী দ্রুত, সস্তায় এবং আরামদায়কভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে মেট্রোকেই বেছে নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার মেট্রো রেলে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। মেট্রো গত পাঁচ মাসে অর্থাৎ জুলাই '২৪ থেকে ৯ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী বহন করেছে। এই পাঁচ মাসে আট কোটি যাত্রী ব্লু লাইনে ভ্রমণ করেছেন, গ্রিন লাইন-১-এ প্রায় ৬১ লাখ যাত্রী, গ্রিন লাইন-২-এ প্রায় ৬৪ লাখ যাত্রী, অরেঞ্জ লাইনে ২ কোটি ৭০ লক্ষ যাত্রী এবং পার্পল লাইনে ৭৯ হাজার যাত্রী ভ্রমণ করেছেন।
গর্বের এই তথ্য শেয়ার করে মেট্রোরেলের তরফে রীতিমতো বিবৃতি জারি করা হয়েছে। মেট্রোরেলের তরফে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, আরও বেশি সংখ্যক মেট্রো যাত্রী ডিজিটাল মোড যেমন UPI, নেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডগুলি টোকেন এবং স্মার্ট কার্ড কেনার জন্য এবং মেট্রোতে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করতে টাকা দিতে বেছে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশে ISKCON-কে ভাতে মারার গভীর ষড়যন্ত্র?
আরও পড়ুন- Egg Price Hike: কলকাতায় ডিমের দরে আগুন! ডিসেম্বরের শুরুতেই আরও বাড়বে দাম?
এই বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল পেমেন্ট যাত্রীদের সময় বাঁচাতে এবং পরিবর্তনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করছে। UPI ভিত্তিক টিকিট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ব্লু লাইন, গ্রিন লাইন-১, গ্রিন লাইন-২, অরেঞ্জ এবং পার্পল লাইনের স্টেশনগুলির টিকিট কাউন্টারে বসানো হয়েছে স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (ASCRM)। এর ফলে যাত্রীদের এখন এই স্টেশনগুলিতে কারেন্সি নোট এবং কয়েনে সঠিক ভাড়াই দিতে হচ্ছে না। পরিবর্তে, তারা এখন তাদের স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করছেন বা এই বিকল্প ব্যবস্থার সাহায্যে টোকেন কিনছেন।
কলকাতা মেট্রোয় এই ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি চালু হওয়ার পরে, যাত্রীদের মধ্যে নোটে ভাড়া দেওয়ার পরিবর্তে এই নতুন সিস্টেমের সাথে টোকেন বা স্মার্ট কার্ড কেনার জন্য ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। আরও বেশি সংখ্যক যাত্রী এই টিকিট মোডটিকে ব্যবহারকারী-বান্ধব বলে মনে করেছেন।
কলকাতা মেট্রোর মোট আয়ের মধ্যে, ২৫.৫১ শতাংশের বেশি উপার্জন ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থপ্রদানের মাধ্যমে আসছে। জুলাই '২৪ থেকে নভেম্বর '২৪ সাল পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী যাত্রীদের মধ্যে অর্থ প্রদানের জন্য ডিজিটাল মোড ব্যবহারের এই প্রবণতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।