/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/14/cats-2025-08-14-11-11-16.jpg)
নবান্ন অভিযানে পুলিশের হাতে মার! নির্যাতিতার মায়ের দাবির পালটা কী জবাব লালবাজারের?
Kolkata Police: পুলিশের হাতে নিগৃহীত হননি আরজি কর কান্ডে নির্যাতিতার মা, এমনই দাবি কলকাতা পুলিশ।
৯ অগস্ট ‘নবান্ন অভিযান’-এর সময় আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ ও খুনের শিকার তরুণী চিকিৎসকের মা কপালে আঘাত পান। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে কলকাতা পুলিশ তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করেছে। তবে কলকাতার যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মীরাজ খালিদ স্পষ্ট জানালেন, পুলিশের হাতে নির্যাতিতার মায়ের আক্রান্ত হওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
সকাল থেকেই শুরু 'অ্যাকশন'! দুপুরের পরই আবহাওয়ার 'ম্যাজিক' বদল, কোন কোন জেলায় তুমুল বৃষ্টির সতর্কতা?
মীরাজ খালিদ বলেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তিনি আহত হয়েছেন। কিন্তু ৯ অগস্টের সমস্ত ভিডিও ফুটেজ আমরা পরীক্ষা করেছি। কোথাও দেখা যায়নি যে পুলিশ তাঁকে মাটিতে ফেলে আঘাত করেছে। এখন পর্যন্ত এরকম কোনও ভিডিও নেই। তবে যদি কারও কাছে এরকম কোনও ফুটেজ থাকে, আমাদের দিতে পারেন।”
উল্লেখ্য, ৯ অগস্ট আর.জি. কর কাণ্ডের বর্ষ পূর্তিতে মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা নবান্ন অভিযানের ডাক দেন। সেই মিছিলে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। আর তাতেই আহত হন নির্যাতিতার মা। পরে তিনি অভিযোগ করেন, “ন্যায়বিচারের দাবি তোলায় পুলিশ আমার উপর চড়াও হয়েছে। কপালে আঘাত করেছে, শাখা-পলা ভেঙেছে, মাটিতে ফেলে আমাকে মারধর করা হয়েছে"।
'মারের পালটা মারের দাওয়াই', মিঠুনের ঝাঁঝালো মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা
এরপরই কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা জানান, এই ধরণের কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক এবং হওয়া উচিত ছিল না। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
অন্যদিকে, নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন যে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে একাধিক থানায় পুলিশ তাঁকে হয়রানি করেছে। তিনি জানান, “শেকসপিয়ার সরণি থানায় গেলে পার্ক স্ট্রিট থানায় যেতে বলা হয়। পরে নিউ মার্কেট থানায় গেলে আবার শেকসপিয়ার সরণি থানায় পাঠানো হয়। এতে বোঝা যাচ্ছে পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করতে চাইছে না।”
এই নিয়ে পুলিশ কমিশনারকে ই-মেল করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানান তিনি। পরে কলকাতা পুলিশের তরফে তাঁকে জানান, তাঁদের অভিযোগ নিউ মার্কেট থানায় গ্রহণ করা হয়েছে এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।