Dilip Ghosh On Madan Mitra: 'বাংলায় কী তবে কোনও মেয়েরই একা বের হওয়া উচিত নয়'? কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে শাসক নেতা মদন মিত্রের তোলপাড় ফেলা মন্তব্যে এভাবেই প্রতিক্রিয়ায় জানালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। গতকালের মন্তব্য পালটা এদিন প্রাক্তন সাংসদ বলেন, "কোনও মেয়েরই কী বাংলায় রাস্তায় একা বের হওয়া উচিত নয়। একা স্কুল বা কলেজে যেতে পারবেন না। তার সাথে সবসময় লোক থাকতে হবে"। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "এই সব লোকেরা কেবল অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য রাজনীতি করে"।
কলকাতা গণধর্ষণ মামলায়, তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বিতর্কিত মন্তব্য ঝড় তুলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। কামারহাটি শাসক বিধায়ক মদন মিত্র গতকাল এক মন্তব্যে বলেন, 'যদি মেয়েটি তার কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটত না। দলের তরফে তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করা হয়েছে। এর পরই ভোলবদল করে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক জানান, তাঁর বক্তব্য ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের অপরাধীরাই সরকার এবং দল পরিচালনা করছে। সেই কারণেই আরজি কর থেকে শুরু করে বালিগঞ্জ একের পর এক ঘটনা ঘটছে। শহরে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে তা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, কিন্তু গ্রামগঞ্জে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন কেউ তা জানতে পারেনা এবং পুলিশ রিপোর্ট নিতে চাই না। পুরো তৃণমূল কংগ্রেস দল অপরাধীদের হাতে চলে গেছে।"
দক্ষিণ কলকাতার এক নামী আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দল যখন আনুষ্ঠানিকভাবে দুই তৃণমূল নেতার মন্তব্যের দায়কে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে দায় ঝেড়ে ফেলেছে, তখন দলের অন্দরেই তাদের মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কড়া ভাষায় এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
কল্যাণ-মদনের বেফাঁস মন্তব্যের পর এক্স-এ এক পোস্টে মহুয়া মৈত্র লেখেন, 'ভারতে নারীবিদ্বেষ দলীয় সীমানা দেখে না।। পার্থক্য হল, যেই ভুল করুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই জঘন্য মন্তব্যগুলির নিন্দা করে।' তৃণমূলের বিবৃতি অনুযায়ী, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্র তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত থেকে এই মন্তব্য করেছেন, তাঁদের এই মন্তব্য কোনও ভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমরা নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি এবং দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”