/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/28/ps-2025-08-28-16-37-44.jpg)
Kotowali Police Station: কোতোয়ালি থানা।
Krishnanagar Murder Case: পুলিশ সুপারের অফিস, একাধিক প্রশাসনিক কর্তার বাংলোর ৫০০ মিটারর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সহপাঠীকে গুলি করার ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত দেবরাজ সিং এখনও অধরা। তবে এই কাণ্ডে পুলিশের তদন্তের বড় ভরসা খুন হওয়া ছাত্রী ইশা মল্লিকের ব্যবহৃত মোবাইল। ইতিমধ্যে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে দেবরাজ সিংয়ের সঙ্গে ইশার ফোনে যোগাযোগ ছিল। ইতিমধ্যে পুলিশ ওই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে।
আর তাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। কাঁচড়াপাড়া থেকে কৃষ্ণনগরে চলে আসার পর দেবরাজকে সেভাবে পাত্তা না দিলেও ফোনে যোগাযোগ ছিল। তাই গত সোমবার দুপুর ২ টো থেকে আড়াইটে-এই সময়টায় বাড়ির দোতলায় মা, বাবা, ভাই নেই। অথাৎ মল্লিকবাড়ির দোতলায় থাকার স্থানে ইশা ছাড়া আর কেউ নেই। এই খবর দেবরাজের মতো অপরাধে হাত পাকানো যুবকের কাছে নিশ্চিত করে না থাকলে সে এভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতো না!বলছেন তদন্তকারীরা।
উত্তরপ্রদেশে বাড়ি দেবরাজের পরিবারে ক্রাইমের প্রবণতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেবরাজ অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে সিদ্ধহস্ত ছিল। তাই পুলিশ সুপারের অফিস বা একাধিক প্রশাসনিক ভবন, জেলার একাধিক মুখ্য প্রশাসনিক কর্তাদের বাংলোর ৫০০ মিটারর মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও সে পিস্তল নিয়ে এতটা রাস্তা আসতে পেরেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে দোতলায় উঠে গিয়ে সরাসরি ইশার মাথায় গুলি চালিয়ে খুন করেছে। আবার কাজ নিশ্চিত করে বাড়ির বাদিকের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে যেতে দেখা গিয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণা থেকে ধুবুলিয়া থানা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া এক যুবক তার মেয়ের ছবি তুলতে গিয়ে সেই ছবি চলে আসে। ওই ছবি মিডিয়ার হাতে এসেছে। সোমবার দুপুর ২ টা ২৫'র মধ্যে ঘটনাটি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- weekend getaway:এখানেই প্রাণের স্বস্তি, মনের আরাম! নিরিবিলি এই তল্লাট কলকাতার কাছেই
ইশা মল্লিককে গুলি করে খুন করার পর দেবরাজ সিংকে নিচে নেমে আসার পর উত্তর চব্বিশ পরগণার বাড়ি এক যুবক তাকে দেখতে পাই। খুন করে মল্লিক বাড়ি থেকে বের হওয়া দেবরাজের সেই ছবিই একমাত্র পাওয়া গিয়েছে। শহরে ১০০ সিসিটিভি থাকলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ খুন করে বেরিয়ে যাওয়া দেবরাজ সিংয়ের কোন ছবি পাইনি। এই খুনের ঘটনার ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর এ হেন পুলিশের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত খুন হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারপরও কি ভাবে অভিযুক্ত দেবরাজ সিং পালিয়ে গেল তা নিয়ে বিস্ময় দেখা দিয়েছে। প্রাইভেটে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কৃষ্ণনগরের একটি প্রতিষ্ঠানে দেবরাজ সিং ভর্তি হয়। তাই কৃষ্ণনগরে যাতায়াত করায় পথ ঘাট অনেকটা চিনে ফেলেছিল।
তাই খুন করার পর মাঝ রাস্তা থেকে সেকি কোন গাড়িতে উঠে চলে যায় নাকি কোন আস্তানায় কিছু সময়ের জন্য লুকিয়ে ছিল তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে পুলিশের টিম উত্তরপ্রদেশে হানা দিয়েছে। তবে ঘটনার ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে অভিযুক্ত ধরা না পড়লেও পুলিশের উপর ভরসা রাখছেন ইশা মল্লিকের বাবা দুলাল মল্লিক। তিনি বলেন, 'পুলিশের উপর আমার ভরসা আছে।পুলিশ তাকে ধরুক। আমি শাস্তি চাই।' এ নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার বলেন, 'আশা করা যায় খুব শীঘ্রই আমরা এই যুবককে ধরে ফেলব। তদন্ত চলছে।'