TMC: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার!শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকেও জট কাটল না তৃণমূল পরিচালিত শতাব্দী প্রাচীন পুরসভার

TMC: এদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

TMC: এদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

author-image
Mousumi Das Patra
New Update
News in West bengal Live: পশ্চিমবঙ্গের খবর

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার!

TMC:  তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূল কাউন্সিলরদের কলকাতায় ডেকে পাঠালেও সমাধান সূত্র বের হলো না। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ছেড়ে দেওয়া হলো তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভার ভবিষ্যত। 

Advertisment

মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতায় হওয়া এই সভায় কৃষ্ণনগর পুরসভার অচলাবস্থা কাটাতে ডাকা হয়েছিল দলের ২০ জন কাউন্সিলরকে। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের  নেতা সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। 

Advertisment

প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগর পুরসভার পুর পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় ২৪ জন কাউন্সিলরকে শোকজ করে রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন ও পুরবিষয়ক দপ্তর। এ নিয়ে পুরসভার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে এক সরকারি নির্দেশ পাঠায় দপ্তর । সেই মতো কাউন্সিলরা ৭ দিনের মধ্যে এর কারণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দেয়। 

আরও পড়ুন- খেজুরিতে দুই BJP কর্মীর মৃত্যু মামলা: হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

প্রসঙ্গত এই শোকজের চিঠির ২৪ ঘন্টা আগে কৃষ্ণনগর পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিল বিশেষ সভা ডাকে। সেই সভাতে ১৫ জন কাউন্সিলর অপসারণের পক্ষে থেকে অপসারিত করেন রীতা দাসকে। ২৫ আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণনগর পুরসভার একজন কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় বর্তমানে ২৪ জন কাউন্সিলর। 

এর মধ্যে ২ জন কংগ্রেসের, ১ জন বিজেপি ও ১ জন নির্দল কাউন্সিলর আছে। অথাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের ২০ জন কাউন্সিলর আছে। মঙ্গলবারের মিটিংয়ের জন্য ফোন করে এই কাউন্সিলরদের ডাকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। সেই মতো মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা'র সময় মিটিং হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় দেড় ঘন্টা পরে মিটিং শুরু হয়। 

মিটিংয়ের শুরুর দিকে কথাবার্তা হওয়ার মাঝে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  কেন অনাস্থা আনা হলো এ নিয়ে জানতে চান। একে একে এই মিটিংয়ে থাকা ২০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। যার মূল কথা ছিল, কৃষ্ণনগর পুরসভার কি ভাবে, কেন কাজ করা যায়নি। এর ফলে দলের ভাবমূর্তি যে একপ্রকার ক্ষতি হচ্ছে সে কথাও বোঝানো হয়। 

আরও পড়ুন-CAA-তে আবেদনে সময়সীমা বাড়াল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শান্তনু ঠাকুর

দুই গোষ্ঠী  তাদের পক্ষ নিয়ে মত দেন বলে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে অপসারিত হওয়া চেয়ারম্যান রীতা দাস গোষ্ঠীর কয়েকজন কাউন্সিলর কিছুটা নিষ্প্রভ ছিল। সকলের কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে খাতাতেও লেখাও হয়। পরে তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব মিটিং শেষ করে দেন। 

একইসঙ্গে জানিয়ে দেয় সমস্তটা তৃণমূল সুপ্রিমোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। আগামী দিন কি হবে তাও ডেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে  তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের দিকেই সকলে তাকিয়ে।

আরও পড়ুন-রাজ্যে রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প, বড় নির্দেশ কেন্দ্রের, এনআরসির প্রস্তুতি, তোপ বিরোধীদের

Krishnanagar Nadia