/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/09/7H4ygy5Oe4K5xvmNionA.jpg)
Kunal Ghosh:তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
Kunal Ghosh-TMC: যিনি সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যিনি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান মুখপাত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন দলনেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন সেনাপতি। রাজনীতির পাশাপাশি একাধারে তিনি সাংবাদিকতা করেন, অন্যদিকে অভিনয়ও করছেন। আবার কখনও মঞ্চে গানের সুরও ধরেন। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
তৃণমূলের জনপ্রিয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন এই সাংসদ কুণাল ঘোষকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিত্যদিনই ট্রোল হতে হয়, তাঁকে নিয়ে নানা ধরনের মিম হয়, নানা ধরনের চোখা চোখা মন্তব্যও ছোঁড়া হয় কুণাল ঘোষকে লক্ষ্য করে। কিন্তু কীভাবে এই সব বিতর্ক-টিপ্পনি এড়িয়ে যান তিনি? সেই নিনজা টেকনিকই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এনেছেন কুণাল নিজেই।
ফেসবুক খুললেই কুণাল ঘোষষকে নিয়ে ট্রোল, মিম, বিশেষ করে তাঁর গ্রেফতারির সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে কুণালের করা মন্তব্য় করা ভিডিও বারবার দেখা যায়। তাঁর ফেসবুক ওয়ালে গিয়ে কড়া আক্রমণ শানানো হয়। কুণাল বলছেন, "ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে। অনেকে প্রশ্ন করেন। তারই উত্তর দেওয়ার একটা চেষ্টা করব। একাংশ নিজেদের হতাশা, নিজেদের অবসাদ থেকে কুৎসিৎ মন্তব্য করেন। কুৎসিৎ ভাষা বলেন। আমি হাসিমুখে এই ধরনের ট্রোলিং ম্যানেজ করি। আমি কী করে সহ্য করি? এই উত্তরে আমি জানাব আমি কোন সাবান ব্য়বহার করি এবং কেন ব্য়বহার করি।"
ফেসবুকে নিয়মিত পোস্ট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই মুখপাত্র। কখনও ভিডিও তো কখনও লেখা। তাঁর ভিউয়ারদের কীভাবে ভাগ করেছেন কুণাল ঘোষ? সেকথাও বলেছেন প্রাক্তন এই সাংসদ।
আরও পড়ুন-Birbhum News: ‘সহবাসে রাজি না হলে মেরে ফেলব’, তৃণমূল নেতার হুমকিতে থানায় ছুট তরুণীর
তিনি বলেন, "ভিউয়ারদের আমি চার ভাগে ভাগে ভাগ করেছি। ক. যারা আমাকে খুব ভালোবাসেন সমর্থন করেন, উৎসাহ দেন। কমেন্ট করেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। খ. যাঁরা নীরবে নজর রাখেন। তাঁরা যে সবসময় লাইক দেন, শেয়ার করেন তা নয়। কিন্তু নজর রাখেন ও মনোযোগ সহকারে মনিটর করেন। গ. যাঁরা কিছুটা ভালোবাসেন। খারপ লাগলে বলে দেন, গঠনমূলক সমালোচনা করেন, পাল্টা যুক্তি দেন। হতে পারে রাজনীতিতে অন্য মতের। ঘ. যাঁরা খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন। নানা ধরনের বিকৃত জিনিস ও নিজেদের হতাশায় তাদের নিজেদের দেওযার মতো কিছু থাকছে না। আমি তাদের ওয়ালে যাচ্ছি না। কিন্তু তাঁরা নিজেদের হতাশা, অবসাদে এই খারপ কথাগুলো লেখেন। আমাকে সবাই বলে আপনি হাসিমুখে নেন কি করে?"
আরও পড়ুন-Birbhum News: দুবরাজপুরে ভোটার তালিকায় নরেন্দ্র মোদীর নাম, একই বাড়িতে মমতাও! শহরজুড়ে চাঞ্চল্য
কীভাবে সমালোচকদের মন্তব্য় হাসিমুখে নেন কুণাল। নিজেই তাঁর জবাব দিয়েছেন। "আমি আপনাদারে বলছি শুনুন। আমি একটা বিশেষ ধরনের সাবান মাখি। এই যে সাবানটার অসম্ভব কসমিক, ম্যাগনেটিক, অপোজিট এফেক্ট আছে। যাদের খুব হতাশা, খুব জ্বলছে এই যে সাবানটা মাখছি এফেক্টটা তাঁদের ওপর গিয়ে পড়ছে। আমার পোস্ট থেকে বের হতে পারবে না। সারা দিন-রাত ওখানেই আছে। ওই কয়েকজন নিজেদের যাবতীয় যাবতীয় হতাশা, খারাপ কখা লিখছে। কিন্তু এই সাবানটার এমন ম্যাজিক্যাল এফেক্ট। পড়ার পর আরও বেশি করে আরও বেশি কুণাল ঘোষ নিয়ে পড়ে থাকছে। কুণাল গিয়ে মিম তৈরি করতে হবে। কুণাল ঘোষের জন্য উল্টো আকর্ষণ। নেশাগ্রস্ত হয়ে যাওয়া। তাই আমি একটা উটের সাবান মাখছি। এটার একটা কসমিক ম্যাজিক্যাল এফেক্ট আছে। তাঁরা অসভ্যের মতো পোস্ট করবে এফেক্টটা তাঁদের ওপর পড়ছে। এটা ক্যামেল মিল্ক সোপ।
কোথা থেকে আসে এই সাবান?
"মরুভূমির মধ্যে উটের দুধথেকে তৈরি। এই সাবানটা ট্রোলারদের জন্য় দারুন কাজ করে। তাঁদের জন্য় এই সাবান মাখি। সারাদিন ফুরফুরে থাকি। এই লোকগুলো সারাদিন হতাশায় ডুবে থাকে। আর আমার ফেসবুক পোস্টে ব্যস্ত থাকে। আমার গোপন জিনিসটা বলে দিলাম। ক্যামেল মিল্ক সোপ ফ্রম আরব। আপনিও চেষ্টা করতে পারেন।"
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us