/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/16/suvendu-slams-mahua-moitra-2025-10-16-11-21-35.jpg)
শুভেন্দুর আগুনে আক্রমণের মুখে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ
তালিবান বিদেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণের প্রশ্নে মোদি সরকার ও সংঘ পারিবারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের।
একান্ত এক সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণনগরের সাংসদ দাবি করেছেন,কেন্দ্রীয় সরকার তালিবানি বিদেশমন্ত্রীকে দেশে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে তালিবান শাসন ব্যবস্থাকে প্রচ্ছন্ন 'বৈধতা' দিচ্ছে। এনিয়ে তিনি মোদি সরকার এবং সংঘ পরিবারের (RSS) কঠোর নিন্দা করেছেন।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যপালের, পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওড়িশা সরকারের
মহুয়া আরও যোগ করেন, “টিম মোদি কেবল তালিবানের নারী অধিকার লঙ্ঘনকে স্বীকৃতিই নয়, বরং তাদের বৈধতা দিচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, তালিবান ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর কীভাবে আফগান নারীদের সঙ্গে আচরণ করেছে তা বিশ্বের সামনে পরিষ্কার। আর সেদেশের বিদেশমন্ত্রীকে দেশের মাটিতে আমন্ত্রণ এবং পরবর্তী ঘটনাক্রম দেখায় যে RSS এবং তালিবানের মধ্যে কতটা মিল রয়েছে। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে তালিবানের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে কেন কোন মহিলা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। কেন্দ্রকে নিশানা করে মহুয়া মৈত্র প্রশ্ন তোলেন, “একজনও মহিলাও আধিকারিকও সেই বৈঠকে ছিলেন না, এটি কি নিছকই কাকতালীয়, নাকি পূর্ব পরিকল্পিত?”
আরও পড়ুন- বিরাট দুর্ঘটনা, চলন্ত গাড়িতে ভয়াবহ আগুন, ঝলসে মৃত্যু চার যুবকের
মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, "তালিবানের আফগান দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারেন নি। ভারত সরকার এই বড় ঘটনায় স্রেফ একটি প্রেস রিলিজে ‘আমাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’ বলে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, মোদি সরকার নারীর ক্ষমতায়ন এবং ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’ নীতির কথা বললেও, বাস্তব চিত্রটা একেবারেই আলাদা। কৃষ্ণনগরের সাংসদ আরও বলেন, “আমাদের প্রধামন্ত্রী ভারতীয় নারীদের প্রতিনিধি হিসেবে দাঁড়াতে পারলেন না। তালিবানকে বলা উচিত ছিল, ‘আপনার নীতি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত, ক্ষমা করবেন, আমি আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে পারব না।’”
আরও পড়ুন- বিশ্বাস-আবেগ যেখানে মিলেমিশে একাকার, খালি হাতে ফেরেন না ভক্তরা, জানুন নৈহাটির বড় মার পুজোর নির্ঘন্ট
মহুয়া মৈত্রের এই মন্তব্য নিয়েই এবার তৃণমূল সাংসদকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "ওনার কথায় কোন মন্তব্য করব না, উনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কোম্পানির এক জন কর্মচারী। উনি হিন্দু বিরোধী। পাশাপাশি দুর্গাপুর ধর্ষণ কান্ডে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করে শুভেন্দু বলেন, আরজি কর কাণ্ডের সময় মমতা বলেছিলেন এই কেসটা আমাদের হাতে নেই। দুর্গাপুরের কেসটা তো রাজ্যের পুলিশের হাতে রয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন, এটাই রাজ্যের মানুষ চাইছেন"।