/indian-express-bangla/media/member_avatars/2024/12/31/2024-12-31t044624928z-img-20241202-wa00852.jpg )
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/03/G8X7nhrKASvRkfd7kAyp.jpg)
মালদাবাসী শুধু নয় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
TMC Leader Murder Update: শহর মুড়ে দেওয়া হয়েছে সিসিটিভি-তে। এদিকে একটা বাইকে চারজন, তাও আবার হেলমেট ছাড়া। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। তবু পুলিশি স্ক্যানারে ধরা পড়ল না। ১০ দিনের ওপর নেতাকে রেইকি করল, তা-ও জানতে পারল না জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এখন সিসি টিভি ফুটেজ দেখে বিশ্লেষণ চলছে! প্রথমে বাইকে চেপে অস্ত্র নিয়ে চারচাকা গাড়িকে তাড়া। তারপর দোকানে ঢুকে গুলি করে খুন। মালদায় সকাল ১০ টার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলাবাসী। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কর্মীরা।
মালদার তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুনের ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জেলার এত বড় মাপের নেতাকে যদি ১০ দিন ধরে ফলো করে তাহলে কেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারল না? প্রথমত এই তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী নেই তা পুলিশ জানতো, পাশাপাশি তাঁর কাছেও কোনও লাইসেন্স প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল না। আগাম কোনও সতর্কতাই অবলম্বন করা গেল না।
স্বভাবতই এই সব প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফুঁসছে মালদার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, রাজ্যের ছোট-বড় বহু নেতার দু-একজন দেহরক্ষী নয়, ওয়াই ক্যাটাগড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যন্ত রয়েছে। আর বাবলা সরকারের মতো নেতার একজন রক্ষীও দেওয়া গেল না। যে ২ জন সরকারি দেহরক্ষী ছিল, তাঁদের তুলে নেওয়া হল।
সারা শহর জুড়ে সিসি টিভি বসানোর ফায়দা কোথায়? আরও বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বাবলা সরকারের চালক সুমন রাইয়ের কথায়। ওই চালক জানিয়েছে, একটা বাইকে চারজন ছিল। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। তবে মুখ ও মাথা ঢাকা ছিল। যেখানে পুলিশ বাইক চলাকালীন দুজনের একজনের মাথায় হেলমেট থাকলে ছাড়ে না। অহরহ বাইক বা যে কোনও গাড়িকে কেস দিতে ব্য়স্ত থাকে।
আইন ভাঙলে ব্যবস্থা নিতেই পারে। কিন্তু চারজন একটা বাইকে চেপে তৃণমূল নেতার গাড়িকে ফলো করে, হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাড়া করে গুলি করে খুন করে দিন সকাল ১০টা নাগাদ। মালদাবাসীর প্রশ্ন, তাহলে শহরে সিসি টিভি বসানোর যুক্ত কোথায়? পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, ট্রাফিক বিভাগের কাজকর্ম নিয়েই মূলত প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন- Bagrakot Loop Pool: ফাটাফাটি লুক! বাগরাকোট লুপ পুল 'সুপারহিট' ভাইরাল! এই রুটেই নিমেষে পৌঁছোন সিকিম
জানা গিয়েছে, এই খুনের ঘটনা যারা ধরা পড়েছে বা যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের বয়স ২০-২৩ বছর। বিহার যোগ পেয়েছে। সূত্রের খবর, সুপারি কিলার নিয়োগ করেই যে খুন সে ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ। আদৌ আসল মাথা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে কিনা সেটাই এখন দেখার। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যা কিনা সেই প্রশ্নে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।