Malegaon Blast Case BREAKING: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় বিরাট স্বস্তি! সাধ্বী প্রজ্ঞা সহ সকল অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস ঘোষণা NIA-এর বিশেষ আদালতের। পাশাপাশি মৃতের আত্মীয়দের দু লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।
মালেগাঁও বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর অবশেষে আজ মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় রায় ঘোষণা হল! প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সহ সাত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস ঘোষণা NIA-এর বিশেষ আদালতের। ২০০৮ সালে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে একটি বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ৬ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। আজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করল।
২০০৮ সালের বহুচর্চিত মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার রায় ঘোষণা করল এনআইএ বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার প্রায় ১৭ বছর পর এই মামলার বিচার পর্বের পরিপ্রেক্ষিতে রায় দান করে আদালত। মামলায় মোট ৭ জন অভিযুক্ত রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি নেত্রী এবং প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও শহরে একটি মসজিদের সামনে পার্ক করা একটি মোটরসাইকেলে রাখা বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৬ জনের, আহত হন ১০০ জনেরও বেশি। ঘটনাটি ছিল সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাপূর্ণ পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠিত একটি পরিকল্পিত বিস্ফোরণ, এমনটাই দাবি তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র।
এই মামলায় সাত অভিযুক্ত ছিলেন—
- সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর
- লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত
- মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) রমেশ উপাধ্যায়
- অজয় রাহিরকর
- সুধাকর চতুর্বেদী
- সমীর কুলকার্নি
- সুধাকর দ্বিবেদী
তাঁদের বিরুদ্ধে UAPA এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু আজকের রায়ে আদালত উল্লেখ করেছে তদন্তকারী সংস্থার দাবি আদালতে প্রমাণিত হয়নি। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে বিচার শুরু হয় এবং ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে তা শেষ হয়। এনআইএ জানায়, এই বিস্ফোরণের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা। মহারাষ্ট্র ATS এই মামলায় শুরুতে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। এর মধ্যে ৫ জন খালাস পেয়েছেন, বাকি ৭ জনকেও আজ বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করল আদালত।