/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/31/uttarpara-tmc-panchayat-member-murdered-2025-07-31-07-29-56.jpg)
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী (মুন্না)।
TMC Leader Murder: রীতিমতো হাড়হিম করা ঘটনা! ভরসন্ধ্যায় জনবহুল রাস্তায় কুপিয়ে খুন দাপুটে তৃণমূল নেতা। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরপাড়া থানার অন্তর্গত কানাইপুরে ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী (মুন্না)।
আরও পড়ুন-'২ কোটি দূর, বাংলা থেকে ২টো নাম বাদ দিয়ে দেখাক', কমিশনকে টেনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে কোন্নগর কানাইপুরে টোটো স্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত একটি গ্যাস গোডাউনের অফিস থেকে বাইকে চেপে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময়ই প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীরা পিছন থেকে এসে আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় তাঁর ওপর। এলোপাথাড়ি আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় তার শরীর। এমনকি অস্ত্রের আঘাতে একটি হাতের কবজি কেটে ঝুলতে দেখা যায়।
সেখানেই রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন তিনি। এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে আততায়ীরা পালিয়ে যায়। সূত্র মারফত জানা যায় দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় দুজন ছিল। পিন্টুকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন- 'জয় শ্রীরাম বলতে বলে, না বলায় ২৫ হাজার টাকা চায়', দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ মালদার পরিবারের
খবর পেয়ে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যান কানাইপুরের বাসিন্দা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। দুবারের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা কানাইপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কানাইপুর ফাঁড়ি ও উত্তরপাড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ কমিশনার(চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট) অমিত পি জাভালগি সহ পুলিশের একাধিক কর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। খুনের মোটিভ নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। ইতিমধ্যেই জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও।