Kolkata fire death toll:অক্ষয় তৃতীয়ার আগে রাতে 'মৃত্যুপুরী' কলকাতার বড়বাজার। মেছুয়া ফলপটট্টির কাছে হোটেল ঋতুরাজে আগুন লেগে ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটজনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত দুই শিশু এক মহিলা সহ মোট ১৪ জন।
অক্ষয় তৃতীয়ার আগের রাতে কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির কাছে হোটেল ঋতুরাজে বীভৎস অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়। ধোঁয়ায় কার্যত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল সেই হোটেল। হোটেল ঋতুরাজের ৪২ টি ঘরে সেই সময় ৮৮ জন আবাসিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে সবাই হোটেলের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কেউ কেউ ছাদে পৌঁছেও গিয়েছিলেন, তবে অনেকেই তা পারেননি। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা ছাদ থেকে অনেককে নামিয়ে এনেছেন।
বারবার বড়বাজারের মতো ঘিঞ্জি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের হেলদোলহীন মানসিকতাকেই দায়ী করেছে বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে বুধবার দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেছেন, "এসব নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। কেউ কেউ সেটা করছেন। মানুষের জীবন আগে বাঁচুক। গতরাতে ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা ঘটনাস্থলে ছিলেন। বিরোধীরা কুৎসা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী কাল থেকে মনিটরিং করছেন। আজ ভোর পর্যন্ত তিনি খোঁজখবর নিয়ে গিয়েছেন।"
আরও পড়ুন- Kolkata hotel fire live Updtaes: বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের পরেই 'বিষাক্ত ধোঁয়া', দমবন্ধ হয়ে মৃত ১৩, তদন্তে SIT
উল্লেখ্য, গতকাল রাত ৮ টা ১৫ নাগাদ বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির কাছে হোটেল ঋতুরাজে আগুন লাগে। মুহূর্তে ৬ তলা হোটেলের দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে কালো ধোঁয়া। গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয় গোটা হোটেল। খবর পেয়ে পরপর একে একে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ছুটে যান বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই হোটেল থেকে একে একে নিথর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই দেহগুলি NRS, আর জি কর, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।। সেখানেই হবে ময়নাতদন্ত।
আরও পড়ুন- Deadly fire in Kolkata: কলকাতার বড়বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুমিছিল, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
আরও পড়ুন- Kolkata Fire: কলকাতার বড়বাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, গ্যাস-চেম্বার হোটেল, মৃত্যু ১৪ জনের
এদিকে, বড়াবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শেকাপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শোকপ্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় লিখেছেন,"বুড়বাজার এলাকার একটি বেসরকারি হোটেল (ঋতুরাজ) তে দুর্ভাগ্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি এবং প্রায় ৯৯ জনকে সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করার জন্য ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা এবং উদ্ধার অভিযানে সাহায্যের জন্যও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে যে যারা মারা গেছেন তারা শ্বাসরোধ/লাফিয়ে পড়া ইত্যাদি কারণে মারা গেছেন। আরও তদন্ত চলছে।রাজ্য সরকার প্রতিটি নিহতের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে, আহতদের প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।আমার সমবেদনা এবং সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছি।"