Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, মুখ্যমন্ত্রীর না যাওয়া নিয়ে প্রবল সমালোচনা, শেষমেশ বিরাট সিদ্ধান্ত মমতার

Mamata Banerjee: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা সফরে যাচ্ছেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হল ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো, শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং প্রশাসনিক পর্যালোচনা করা।

হিংসার প্রেক্ষাপট: 

৮ থেকে ১৩ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। এই সময়ে জাতীয় সড়ক ১২ অবরোধ, পুলিশ গাড়িতে আগুন, স্থানীয় সাংসদের অফিসে হামলা এবং নিমতিতা রেলস্টেশনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই সহিংসতায় ৩ জন নিহত ও ১০ জন আহত হন, এবং ২৭৪ জনের বেশি গ্রেফতার হন। প্রায় ৪০০ জন বাস্তুহারা হয়ে মালদা জেলায় আশ্রয় নেন। 

মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনকে "অসাম্প্রদায়িক" ও "মুসলিমদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই আইন রাজ্যের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকার পাস করেছে এবং এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত। 

আরও পড়ুন- Adhir Chowdhury:'অঙ্কটা নিজে কষুন, কত লোককে দিচ্ছেন আর কত চাকরি খাচ্ছেন', মমতাকে তুলোধনা অধীরের

প্রশাসনিক পদক্ষেপ:

সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক বন্ধ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী (BSF) মোতায়েন করে। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। 

মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরের মূল লক্ষ্য:

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে সহানুভূতি প্রকাশ।

স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা।

শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা প্রদান এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে উদ্যোগ নেওয়া।

আরও পড়ুন- Kolkata News Live: BJP-র বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হাজরা মোড়, পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি, আটক সুকান্ত মজুমদার

এদিকে, মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক হিংসার (Murshidabad Violence) পর বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সেখানে না যাওয়ায় ফের একবার তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Choudhuri)। বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বলেছেন, "মুর্শিদাবাদে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আসার সময় পেলেন না। কত মানুষের ঘর-বাড়ি পুড়ে গেল, কত মানুষের মৃত্যু হল, পুলিশের নির্দেশে তাণ্ডব চলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর, এখানে তিনি আসার সময় পেলেন না।"

গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দল (Jsw) গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে হাজার-হাজার কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই চাকরির আশ্বাস নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন অধীর।

আরও পড়ুন- Anurbarata-Kajal: ধীরে ধীরে বীরভূম কব্জায় নিচ্ছেন কেষ্ট! কাজলকে 'ধাক্কা' দিতেই 'বিরাট চাল'

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা বলেন, "শালবনিতে গিয়ে বাংলার বেকার যুবকদের ধাপ্পা মারতে তাঁর সময়ের অভাব হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ১৫ হাজার মানুষের চাকরি হবে আর কোম্পানির মালিক বলছেন ৫ হাজার লোকের চাকরি হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দেখে কেমন শিল্প করলাম, কোম্পানির মালিক বলছেন ১৬ বছর পার হয়ে গেল এই একটা কোম্পানি তৈরি করতে। সস্তায় জমি দিয়ে সরকার বলল তোমাদের যা উৎপাদন তা আমি কিনব।"