/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/28/mamata-2025-08-28-14-52-32.jpg)
TMCP Foundation Day 2025: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে এবার নিজের ছাত্র রাজনীতির নানা অজানা কাহিনী শোনালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ছাত্র জীবনের নানা কাহিনী বর্ণনা করে পূর্বতন বাম সরকারের প্রধান দল সিপিএমকে তুলোধনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলনেত্রী এদিন বলেন, "যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম...আমাকে বন্দুক নিয়ে তাড়া করেছিল। কলেজ ভোটের সময়। আশুতোষ কলেজের ভোট হচ্ছিল, আমি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। স্লোগান দিচ্ছিলাম, সেই সময় জল তেষ্টা পেয়েছিল। আমি জল খেতে এসে দেখি একটা গাড়িতে দুটো ছেলেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল সিপিএমের গুণ্ডারা। আমাদের ছাত্র পরিষদের দুটো ছেলেকে কলার ধরে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমরা মাত্র দু'জন ছিলাম, কিন্তু সাহস ছিল দেখুন...আমার সঙ্গে অশোকা ছিল। আমি গিয়ে কলারটা ধরলাম গাড়ি থেকে নামিয়ে, আর অশোকা দুটো থাপ্পড় মারল। তারপর ছেলে দুটোকে বাঁচিয়ে আমরা নিয়ে এলাম।"
তিনি আরও বলেন, "তারপর আমাকে বন্দুক, পাইপগান, স্টেনগান নিয়ে তাড়া করল। তখন স্থানীয়রা ছেলেরা আমাকে একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকিয়ে বাইরে থেকে গেটটা টেনে দিল। সেটা না হলে সেদিনই হয়তো আমাকে মেরে ফেলতো। এরা (সিপিএম) আবার বড় বড় কথা বলে। আমি হাজরা মোড়ে বক্তৃতা করছিলাম বলে আমাকে ডান্ডা মেরে মেরে....আমার মাথায় ৪৬টি সেলাই আছে। আমার ব্রেন অপারেশন করতে হয়েছে। আমার ডান হাতে অর্ধেক হাড় নেই। । যখন প্রথমে মারে, তখন গলগল করে রক্ত পড়ছিল। দ্বিতীয়বার যখন মারে, তখন দেখি আমার দু'দিক দিয়েই রক্তে ভাসছে। তৃতীয়বার যখন মারে, কোনওভাবে আমার হাতটা মাথায় উঠে গিয়েছিল। ঈশ্বর, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তখন আমার হাতে মেরে হাড়টা চ্যাপ্টা করে দেয়।"
গার্ডেনরিচে একবার তাঁর ওপর গুলি চালানো হয়েছিল বলে এদিন ফের একবার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "গার্ডেনরিচে গুলি চালিয়েছিল। বিমানদা (বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়) গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমাদের গাড়িটা ভেঙে দিয়েছিল। গাড়ির ওপরে উঠে নাচতে শুরু করল। গাড়ির ভাঙা কাচ আমার চোখে ঢুকল। আমি বিমানদাকে বললাম গাড়ি চালাবেন না, আমি দেখতে চাই ওরা মারুক, দেখি পারে কিনা।"
তাঁর কথায়, "তারপর ওরা গুলি চালাল। হঠাৎ করে একটা ছেলে চলে এল, তার নাম আক্তার। হঠাৎ করে সে তার হাতটা তুলে দিল, সে জানত না কী হয়েছে। যে গুলিটা আমার কপালে লাগার কথা, সেই গুলিটা ওর হাত ফুটো করে বেরিয়ে গেল। সারা শরীরে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে চোট নেই। ২১ জুলাই কোমরে মেরে কোমর ভেঙে দিয়েছিল প্রায়। আমাকে রোজ ব্যায়াম করে থাকতে হয়। যন্ত্রণা সহ্য করে বেঁচে থাকতে হয়।"