/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/22/XomjfxrigWJpessEQhEV.jpg)
Mamata Banerjee-Adhir Ranjan Chowdhury: ফের অধীর চৌধুরীর নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Adhir Chowdhury-Mamata Banerjee:আবারও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর নিশানায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। 'পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা জিইয়ে রাখতে চাইছে সরকার', মারাত্মক অভিযোগ প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। সেই সঙ্গে "আমাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়ে গিয়েছে", শীর্ষক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যেরও নজিরবিহীন কটাক্ষ করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
অধীর চৌধুরী বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে আমি নিজে ১০ তারিখে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। উনি যে রাজ্যে বড় হয়েছেন, সেই ওড়িশার কথাও তো বলব আমি। এই সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টা নেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। এখানকার সরকার এই সমস্যা বাঁচিয়ে রাখতে চায়, যাতে অন্য প্রশ্নের উত্তর দিতে না হয়। চাকরি নেই, স্বাস্থ্য-শিল্পে দুরবস্থা... এসব কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না। উত্তর চাইতে গেলেই আমি পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে লড়ছি বলবে।"
তিনি আরও বলেন, "এখন উত্তর চাইতে গেলে বলবে আমি সেনার সঙ্গে লড়ছি। দু'শো সেনা তাঁকে দেখে পালাচ্ছে। আমার তো মনে হয় দিদির দলের সিভিক আর তাঁর নেতৃত্বে দিদিকে রেখে চাইনিজ বর্ডারে ছেড়ে দাও, পাকিস্তান বর্ডারে ছেড়ে দাও। সেনা লাগবে না। দিদির সেনা আছে সিভিক, হাতে পিস্তল ধরিয়ে দাও, আর পিছনে আছে দিদি। যদি দিদিকে দেখে দু'শো সেনা পালায় তাহলে তার সিভিককে দেখে আরও সেনা পালাবে। তাহলে আর পাকিস্তান, চায়না কে নিয়ে আমাদের কোনও ভয় নেই। দিদি একাই সামলে নেবে।"
আরও পড়ুন-CAA-তে আবেদনে সময়সীমা বাড়াল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শান্তনু ঠাকুর
আগামী ১০ তারিখ পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছি । এর আগে চিঠি দিয়ে ওনাকে জানিয়েছিলাম...
Posted by Adhir Ranjan Chowdhury on Wednesday, September 3, 2025
অধীর চৌধুরীর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গে এতগুলো শিক্ষকের চাকরি চলে গেল, রাজ্যে বেকারত্ব-শিল্প-স্বাস্থ্যে অনিয়ম...কোনও কিছু নিয়ে আলোচনা নেই। রাজ্যে রাজ্যে যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তাদের নিয়ে কী করা যেতে পারে, এসব নিয়ে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, এই ঝঞ্ঝাটগুলো মেটানোর রাজ্য সরকারের কোনও প্রচেষ্টা নেই। বরং রাজ্যের প্রচেষ্টা হচ্ছে এই বাঙালি সমস্যাকে জিইয়ে রাখা।"