ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। আজ প্রথমে হুগলির আরামবাগে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের উদ্দেশে।
ফি বারের মতো এবারেও বর্ষায় হুগলির আরামবাগ-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। আজ ঘাটালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে থাকবেন এলাকার তারকা সাংসদ দেব থেকে শুরু করে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া সহ জেলা প্রশাসনের অন্য কর্তারা।
বৃষ্টি ছাড়াও DVC-র ব্যারাজগুলি থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে জল ছাড়া জেরে প্রতি বছর বাংলার বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে বারবার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও ঘাটাল, আরামবাগ সহ রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির জন্য DVC-কেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- Dinhata Hospital:সিজারের সময় সদ্যোজাত শিশুর কপালে ছুরির আঘাত, শোরগোল দিনহাটা হাসপাতালে
এই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "DVC-র “বন্যা নিয়ন্ত্রণ" আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’ দিয়েছে। কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি ক্রমশ আরও বেশি বেশি করে বাংলা-বিরোধী হয়ে উঠছে। সারা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলা-বিরোধী পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিস্থিতিকে দেখতে হবে। ২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর DVC-র জল ছাড়ার পরিমাণ ১১ গুণ বেড়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ৩০ গুণ!! দক্ষিণবঙ্গে বন্যা ঘটানোর জন্য এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বাংলাকে বিপদে ফেলার জন্য এটা আরো বেশি বেশি করে ঘটাতে থাকা ম্যান-মেড বিপর্যয়।"
আরও পড়ুন- Kolkata weather today:ভারী বৃষ্টির জোরালো সতর্কতা এই জেলাগুলিতে, আজ কাঁপানো ঝড়-জল কলকাতাতেও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, "২০২৪ সালের জুন ও জুলাই মাসে DVC থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৪,৫৩৫ লক্ষ কিউবিক মিটার, ২০২৫ সালের জুন ও জুলাই মাসে DVC থেকে জল ছাড়া হয়েছে, ৫০,২৮৭ লক্ষ কিউবিক মিটার। এই বছর এই বিপুল ও নজিরবিহীন পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিধ্বস্ত হয়েছে, বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রচুর বাঁধ ভেঙেছে, অসংখ্য রাস্তা ভেঙেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে – তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বাংলায় বন্যা ঘটানোর জন্য জল ছাড়ার পরিমাণ যেভাবে ক্রমাগত বাড়ছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক। এর মধ্যে আমি স্পষ্টই গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি! অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া দরকার।"
আরও পড়ুন-Kolkata weather today:ভারী বৃষ্টির জোরালো সতর্কতা এই জেলাগুলিতে, আজ কাঁপানো ঝড়-জল কলকাতাতেও