চারদিকে শূন্যতা। হাহাকার। লড়াই শেষ, সকলকে কাঁদিয়ে মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। শোকবিহ্বল টলি পাড়া। ২৪ বছরের অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকবার্তায় অবশ্য ঐন্দ্রিলার মনোবল, অদম্য লড়ায়ের মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকবর্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'বিশিষ্ট অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার অকাল-প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ হাওড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রতিশ্রুতিময়ী তরুণী এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। মারণরোগের বিরুদ্ধে অদম্য মনোবল নিয়ে তিনি যেভাবে লড়াই করেছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাঁর ট্রাজিক প্রয়াণ অভিনয় জগতের এক বড় ক্ষতি। আমি ঐন্দ্রিলা শর্মার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
<আরও পড়ুন- উড়ে গেল ‘ফিনিক্স’ পাখি! ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না সব্যসাচীর>
<আরও পড়ুন- ‘তোমার লড়াই একটা দৃষ্টান্ত…’, ঐন্দ্রিলার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণারা>
<আরও পড়ুন- ‘সব্যর খেয়াল আমি রাখব’, প্রয়াত ঐন্দ্রিলাকে আশ্বাস সৌরভের! শোকে ফেসবুক ছাড়লেন সব্যসাচী>
সেখানেই উল্লেখ, মমতা আরও লেখেন, 'তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিয়াল ঝুমুর, মহাপীঠ তারাপীঠ, জীবন জ্যোতি, জীবন কথা, জিয়নকাঠি ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে এবছর অসাধারণ প্রত্যাবর্তন বিভাগে টেলি সম্মান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।'
লড়াইয়ের উদাহরণ ঐন্দ্রিলা দু'বার মারণ কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী। চিকিৎসা হয়েছে। তারপরও মনের জোরে ফিরেছিলেন অভিনয়ে। তাঁর লড়াই, কাজ, হাসিখুশি মুখের জন্য মন জয় করেছিলেন সকলের। তবে গত ১লা নভেম্বর অসুস্থ হয়ে ফের ভর্তি হেছিলেন হাওড়ার নার্সিংহোমে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল তাঁর। কোমায় চলে গিয়েছিলেন। কোনও জ্ঞান ছিল না। আর চোখ খুললেন না অভিনেত্রী। সকলকে কাঁদিয়ে রবিবার দুপুর ১২.৫৯ মিনিটে মায়ের কোল খালি করে প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা।