Kolkata Metro: দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে কলকাতা শহরের আনাচে কানাচে ঠাকুর দেখার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হল পাতালরেল। প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে মেট্রোরেলে ঠাসা ভিড় হয়। বিপুল সেই ভিড় সামাল দিতে রেকের সংখ্যাও বাড়িয়ে দেয় মেট্রোরেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এবারও পুজোর দিনগুলিতে পাহাড় প্রমাণ যাত্রীদের বিপুল চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত মেট্রো চালানো হয়েছিল। এবারের দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী মেট্রোয় চড়ে ঠাকুর দেখেছেন। বিস্তারিতভাবে এব্যাপারে রীতিমতো বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে মেট্রোরেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোরেলের তরফে দেওয়া বিবৃতি:
মেট্রো রেল এই বছর চতুর্থী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত ৫০ লক্ষ ৫ হাজার যাত্রী বহন করেছে যা গত বছরের তুলনায় ১.৭৭ % বেশি। এর মধ্যে ব্লু লাইন ৪৪ লক্ষ ৯ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে। গ্রিন লাইন-১ ২ লক্ষ ৫৩ হাজার এবং গ্রিন লাইন-২ এই ছয় দিনে ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার যাত্রী পরিবহণ করেছে।
বিগত বছরগুলির মতো এবছরও কলকাতা ও তার আশেপাশে পুজোর দিনগুলিতে মেট্রো যাত্রীদের সিংহভাগ বহন করেছে। উত্সব চলাকালীন বিভিন্ন পূজা প্যান্ডেল দেখার জন্য যাত্রীরাও মেট্রোতে ভ্রমণ করা সুবিধাজনক বলে মনে করেছেন। ব্লু লাইনে, সর্বোচ্চ যাত্রী সংখ্যা দমদমে (৪ লক্ষ ৪২ হাজার) রেকর্ড করা হয়েছে। তারপরে রয়েছে কালীঘাট (৩ লক্ষ ৬১ হাজার) এবং শোভাবাজার-সুতানুটি (৩ লক্ষ ১১ হাজার)। চতুর্থী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ যাত্রী মেট্রোরেলের বিভিন্ন শাখায় যাত্রা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- Indian Railway: বাংলার বুকে নতুন ইতিহাস রেলের! পুজোর মরশুমে যাত্রী-পরিষেবায় 'সেরার সেরা' রেকর্ড
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: মেট্রোযাত্রীরা এখবর এখনই পড়ুন, যাত্রীদের সুবিধার্থে আরও এক ফাটাফাটি উদ্যোগ!
গ্রীন লাইন-১-এ, সর্বোচ্চ যাত্রী সংখ্যা শিয়ালদহে (প্রায় 1 লাখ) রেকর্ড করা হয়েছে, তারপরে সল্টলেক সেক্টর V (47,894) এবং ফুলবাগান (26,285) মহাচতুর্থি থেকে বিজয়াদশমী পর্যন্ত। গ্রীন লাইন-২-এ, সর্বাধিক যাত্রী সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে হাওড়ায় (১.৯৮ লাখ) তারপরে হাওড়া ময়দানে (১.২৩ লাখ) এবং মহাকরণে (৩৩,৬৫৩) মহাচতুর্থি থেকে বিজয়াদশমী পর্যন্ত।
আরও পড়ুন- Eastern Rail: এবার পুজোয় ইতিহাস রচনা রেলের! শিয়ালদহ শাখায় অভাবনীয় কীর্তির ভূয়সী প্রশংসা
উল্লেখ্য, ব্লু লাইনে মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী-মহানবমী ও মহাদশমীতে রাতভর পরিষেবা চালানো হয়। এই তিন দিনে মধ্যরাতের পর থেকে গ্রিন লাইন-২ সার্ভিস ভালোভাবে পরিচালিত হয়। মেট্রো কর্মকর্তা এবং কর্মীরা মূল্যবান যাত্রীদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিষেবা প্রদানের জন্য একযোগে কাজ করেছেন। মেট্রো যাত্রীরাও আমাদের সাথে সহযোগিতা করেছিল এবং তারা সকলেই প্রশংসায় ছিল কারণ মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাদের ঝামেলামুক্ত যাত্রা প্রদানের জন্য বিস্তৃত ব্যবস্থা করেছিল।