Mithun Chakraborty: ভারতীয় সিনেমায় অনবদ্য অবদানের জন্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আদ্যোপান্ত বাঙালি এই অভিনেতা তাঁর অভিনয় জগতে প্রবেশের আগে রাজনীতি করতেন। নিজের দুনিয়ায় যখন তিনি একেবারে মধ্য গগণে তখনও জড়িয়েছেন রাজনীতির আঙিনায়। বারবার দলবদল করতে দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। সংক্ষিপ্ত এই প্রতিবেদনে মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হল।
জীবনের প্রথম দিকে কলকাতায় থাকতে নকশাল আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন মিঠুন। নানা সংবাদমাধ্যমে সে কথা জানিয়েছেন অভিনেতা নিজে। একটা সময় এই রাজনীতির জন্যই তাঁকে কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল। সেই সময়ে কলকাতার জোড়া বাগান এলাকায় থাকতেন মিঠুন চক্রবর্তী। শোনা যায়, নকশাল আন্দোলনের জড়িয়ে পড়ার জন্য মিঠুনকে নাকি দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে।
এক কথায় প্রাণ ভয়েই কলকাতা শহর ছেড়ে মিঠুন চলে গিয়েছিলেন আরব সাগরের পাড়ে মুম্বই শহরে। একাধারে হিন্দি ও বাংলা ছবিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গেলেও রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সংযোগটা পুরোপুরি চ্ছিন্ন হয়নি কখনও। কেরিয়ারে নানা চড়াই-উতরাই পেরোলেও বারবার তাঁকে টেনেছে রাজনৈতিক আঙিনা।
আরও পড়ুন- Pahar Bandh: মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের মাঝেই বনধ, পাহাড়ে চূড়ান্ত দুর্ভোগ পর্যটকদেরও
আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: রোদ ঝলমলে আকাশ দিয়ে সপ্তাহ শুরু, মহালয়া থেকেই আবহাওয়ায় বিরাট বদল?
মিঠুন যখন কেরিয়ারের একেবারে মধ্য গগনে সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে বামেদের রমরমা। তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জনপ্রিয় সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা আজও চর্চায়। সুভাষ চক্রবর্তী ছাড়াও বামেদের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে মিঠুনের মধুর সম্পর্ক ছিল। সুভাষ চক্রবর্তীর হয়ে নির্বাচনের প্রচারেও মিঠুন চক্রবর্তীকে বারবার দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- আসছে 'গুলাব গ্যাং', 'রোমিও'রা সাবধান! নারী সুরক্ষায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ পুলিশের
পরবর্তী সময়ে বাংলায় রাজনৈতিক পালাবদলের পর মিঠুনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভা সাংসদ করেন। এভাবেই চলেছে বেশ কয়েক বছর। তবে তৃণমূলের সঙ্গে মিঠুনের সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি বেশি দিন।
শুরু হয় মিঠুনের গেরুয়া-যুগ। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মিঠুন চক্রবর্তী যোগ দেন BJP-তে। দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে বঙ্গে ঝড় তোলেন মিঠুন। পর্দার সুপারস্টার হিরোর নানা মুখরোচক ডায়লগ নিয়ে দারুণ চর্চা শুরু হয়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। একের পর এক সভা০সমাবেশে মিঠুনের ভাষণ দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিজেপি কর্মীদের কাছে।
এবার ৭৪ বছর বয়সে এসে মিলল ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ পুরস্কার। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডলে মিঠুন চক্রবর্তীর এই দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার কথাটি জানিয়েছেন। আগামী ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মিঠুন চক্রবর্তীর হাতে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।