/indian-express-bangla/media/media_files/2024/11/06/Yr1fhWaW2J5rDuWoXkSv.jpg)
অভিনেতার দাবি, কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যে তাঁর সম্মান ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে
অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী তিন মাস কুণাল ঘোষ মিঠুন চক্রবর্তী বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। ডিসেম্বর মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন-মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে হেফাজতে পেতে মরিয়া চেষ্টা ইডির! শেষমেশ আদালত কী জানাল?
উল্লেখ্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে 'আপত্তিকর' মন্তব্যের প্রেক্ষিপ্তে প্রবীণ অভিনেতা এবং বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন। মিঠুনের অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কুণাল ঘোষ তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
অভিনেতার দাবি, কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যে তাঁর সম্মান ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, পেশাগত ক্ষতিও হয়েছে। নতুন ছবি এবং বিজ্ঞাপনের কাজ ব্যাহত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাই ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০০ কোটি মানহানির মামলা দায়ের করেন তিনি।
আরও পড়ুন- ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর বদলি মামলায় কী নির্দেশ হাইকোর্টের?
মিঠুন আরও জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ, পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপক। কুণাল ঘোষ তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার মতো ভুয়ো গুজব ছড়িয়েছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আদালতে জমা দেওয়া পিটিশনে মিঠুন চক্রবর্তী ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি কুণাল ঘোষকে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন-চার দশকের মধ্যে প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রুদ্ররূপ, ফের মঙ্গলের পুনরাবৃত্তি? চরম আশঙ্কায় ঘুম উড়ল শহরবাসীর
মিঠুনের আবেদনের প্রেক্ষিপ্তে আগামী তিনমাস অভিনেতাকে নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি এই মামলায় নোটিশ সার্ভ করতে হবে তাঁকে।
এদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ পাল্টা মন্তব্য করে জানিয়েছিলেন “একজন ব্যক্তি বারবার দল পরিবর্তন করেছেন, তিনি আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন। পাঁচবার দলবদল করা ব্যক্তির মানহানি কোথায়? আমি চাই মামলাগুলি সিবিআই তদন্ত করুক।”