/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/26/ac-servicing-safety-2025-07-26-14-15-17.jpg)
বর্ষায় কতটা বিপজ্জনক হতে পারে আপনার সাধের এসি মেশিনটি?
AC Tips And Tricks: বর্ষাকালে এসি ব্যবহার করার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে ভুলবেন না। নাহলে বিরাট ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবেন না।
আরও পড়ুন-বাজারে বিরাট আলোড়ণ ফেলে আত্মপ্রকাশ! অত্যাধুনিক Acer-এর lightweight ল্যাপটপের ফিচার তাক লাগাবে
দেশের বেশিরভাগ অংশেই তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে জারি রয়েছে আর্দ্রতা। আর এই আর্দ্রতা থেকে মুক্তি পেতে মানুষজন দিনে-রাতে এসি চালাচ্ছেন। কিন্তু গ্রীষ্মের তুলনায় বর্ষায় এসি চালানোর সময় বেশ কিছু বিষয় অতিরিক্তভাবে মাথায় রাখাটা জরুরি। না হলে ক্ষতি হতে পারে সাধের মেশিনের।
আজকাল প্রায় বেশিরভাগ বাড়িতেই রয়েছে এসি মেশিন। কিন্তু কখনও কখনও এসি শীতলতার বদলে ক্ষতিও ডেকে আনতে পারে। গ্রীষ্মকালে যেমন এসি ব্যবহার করা হয়, বর্ষার সময়েও সেই একই রকমভাবে এসি ব্যবহার করলে ভোগান্তির আর শেষ থাকবে না। বর্ষাকালে এসি মেশিনের প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহারের ধরণ গ্রীষ্মের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন না করলে কেবল বিদ্যুৎ বিলই বাড়বে তা নয় তার সঙ্গে এসিরও ক্ষতি করতে পারে। এই কারণেই বৃষ্টিতে এসি ব্যবহার করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখাটা জরুরি। আসুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিন বর্ষায় এসি ব্যবহারের সময় কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন।
আরও পড়ুন- আগস্টে বড় ধাক্কা! চালু হবে কি BSNL 5G পরিষেবা?
বর্ষাকালে এসি চালানোর সময় আপনার কিছু বিষয় জানা উচিত। এই ঋতুতে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল ড্রাই মোড। এসি চলাকালীন এই মোড ঘর থেকে আর্দ্রতা দূর করে এবং শীতলতা বজায় রাখে। বৃষ্টির সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। যার কারণে ঘরে স্যাঁতসেঁতে এবং আঠালো ভাব থাকে। যদি আপনি কুলিং মোডে এসি চালান। তাহলে ঘর আরও বেশি স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাবে।
আর্দ্রতা তো কমবেই না উলটে বাড়বে বিদ্যুৎ খরচ। অন্যদিকে ড্রাই মোড বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এবং ঘরের পরিবেশও আরামদায়ক থাকে। আর্দ্র পরিবেশে এই মোড খুবই উপকারী।
আপনি বিদ্যুৎ বিলও বাঁচাতে পারেন
বর্ষাকালে সঠিকভাবে এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব। এর জন্য এসির তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রি রাখা জরুরি। এটি কেবল শীতলতা বজায় রাখে না বরং বিদ্যুৎ খরচও কমায়। এর পাশাপাশি ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন যাতে ঠান্ডা বাতাস বাইরে না যায়। এছাড়াও, সময়মতো এসি ফিল্টার পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। নোংরা ফিল্টার ইউনিটের উপর লোড বাড়ায়। যদি আপনি এসির সঙ্গে ফ্যানও চালান, তাহলে শীতলতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, ফলে এসিকে কম পরিশ্রম করতে হবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
আরও পড়ুন- রাখিতে বাজেট ফ্রেন্ডলি নজরকাড়া উপহারে চমকে দিন প্রিয় বোনকে! রইল হাজারের মধ্যে চোখধাঁধানো তালিকা
বিদ্যুৎ বিল কমাতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
- এসির তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন
- জানলা ও দরজা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন
- নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার করুন
- ফ্যানের সঙ্গে এসি ব্যবহার করুন—তাতে কুলিং ছড়াতে কম সময় লাগে, কম্প্রেসারের উপর চাপ কমে
- যদি এই ৫টি লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন।
১. অস্বাভাবিক শব্দ
এসি থেকে অস্বাভাবিক শব্দ হলে বুঝতে হবে এসির ভিতর কোনও যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই ধরণের শব্দ উপেক্ষা না করে সঙ্গে সঙ্গে মেকানিককে ডেকে সার্ভিসিং করান।
২. নিজে থেকে চালু-বন্ধ হচ্ছে এসি
বৈদ্যুতিক সংযোগে সমস্যা বা শর্ট সার্কিটের ফলে বর্ষায় অনেক সময় এসি নিজে থেকেই অন-অফ হতে থাকে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তৎক্ষণাৎ মেন স্যুইচ বন্ধ করে মেকানিক ডেকে রিপিয়ার করুন।
৩. পোড়া গন্ধ বের হওয়া
এসি থেকে পোড়া গন্ধ বেরোলে দ্রুত এসি বন্ধ করে টেকনিশিয়ান ডেকে পরীক্ষা করান।
৪. এসি থেকে জল পড়া
ড্রেন পাইপ ব্লক হয়ে গেলে বা কুল্যান্ট লিক হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। সময়মত ব্যবস্থা না নিলে ঘরের দেয়াল ও আসবাবপত্র নষ্ট হতে পারে। সেই সঙ্গে শর্ট সার্কিটের ঝুঁকিও বাড়ে।
৫. ঘরের মধ্যে অসম শীতলতা
যদি ঘরের কিছু অংশ ঠান্ডা আর কিছু অংশ গরম থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ফিল্টার, কুল্যান্ট-এ কোনও সমস্যা হয়েছে। এমন সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে মেকানিক ডেকে তা পরীক্ষা করান।
বর্ষাকালে এসির সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ শুধু আরামদায়ক পরিবেশই দেয় না, বরং দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সাশ্রয় এবং এসির লাইফ স্প্যানও বৃদ্ধি করে। তাই এই মরসুমে এসি ব্যবহারে সচেতনতা বিশেষ জরুরি।