mother of deceased demanded death sentence for culprits in death of young woman who overturned the car in Panagarh: পানাগড়ে চন্দননগরের তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারি শূন্য। পুলিশ দাবি করেছে, ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং তরুণীদের গাড়িটিই অন্য গাড়িটিকে ধাওয়া করছিল, তারই জেরে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু। যদিও পুলিশের সেই দাবি নস্যাৎ করেছে মৃতের পরিবার। রাজ্যের প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলে মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের প্রশ্ন, "লক্ষ্মীরাই যদি চলে যায়... লক্ষীর ভাণ্ডার নেবে কে?"
স্বামীকে হারিয়েছেন ১০ মাস আগে। এবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু একমাত্র মেয়ের। বুকফাটা আর্তনাদে মেয়ের মৃত্যুতে দোষীদের ফাঁসির শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, "লক্ষ্মীরাই যদি চলে যায়, লক্ষীর ভাণ্ডার নেবে কে? হাজার টাকা করে কন্যাশ্রী দিচ্ছে, কন্যাশ্রী নেবে কে?। আমার স্বামী ১০ মাস আগে মারা গেছেন। মেয়েই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিল। জাতীয় সড়কের উপর এমন ঘটনা ঘটে গেল, পুলিশের কোনও টহলদারি নেই।"
তিনি আরও বলেন, "মেয়েই আমার সব। বাড়িতে আমার শাশুড়ি এবং আমার নিজের মা রয়েছেন। মেয়ের রোজগারেই সংসার চলত। এবার আমাদের কী হবে! সুস্থ মেয়েটা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। শুধু বদমায়েশদের জন্য আমার মেয়েকে প্রাণ হারাতে হল। পুলিশ পারে না এমন কোনও কাজ নেই। আমি জানি না কে কোন পার্টি করে... তার কী রং! আমার মেয়ের মৃত্যুতে জড়িতদের ফাঁসির শাস্তি চাই।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'ওরা আগে ঠিক করুক, কী চায়', বাংলাদেশের আচরণে চরম ক্ষুব্ধ ভারত
এদিকে, একমাত্র নাতনির মৃত্যুর পর থেকে বুক চাপড়ে হাউহাউ করে কেঁদেই চলেছেন তাঁর ঠাকুমা। শোকে ভেঙে পড়া বৃদ্ধা বলেন, "ওই তো একমাত্র সন্তান ছিল এখন আমার.. দেশে কি মেয়েদের কোনও সুরক্ষা নেই? কেন মেয়েদের এই অবস্থা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- Panagarh Accident Case: পানাগড়ে গাড়ি উল্টে মৃত তরুণী, ইভটিজিং তত্ত্ব উড়িয়ে চমকে দেওয়া দাবি পুলিশের!
চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্কার কর্মী ছিলেন। রবিবার গভীর রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একটি গাড়িতে তিনি গয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার পর তাঁদের গাড়িটিকে অন্য একটি গাড়ি ধাওয়া করে বলে অভিযোগ। ওই গাড়িতে থাকা যুবকরা মদ্যপ ছিল বলে দাবি। সুতন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে মদ্যপ যুবকরা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছিল বলে অভিযোগ। ওই গাড়ির ধাক্কাতেই শেষমেশ সুতন্দ্রাদের গাড়িটি উল্টে পড়ে বলে জানান সুতন্দ্রাদের গাড়িচালক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুতন্দ্রাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: নয়া 'ইতিহাস' রচনা কলকাতা মেট্রোর! দুরন্ত তৎপরতায় আরও এক মাইলফলক স্পর্শ
সুতন্দ্রাদের গাড়িচালক ইভটিজিংয়ের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ইভটিজিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতেই এবং আরও বড় কোনও বিপত্তি এড়াতেই তাঁরা গাড়ি ছুটিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়, ওই রাতে ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। শুধু তাই নয়, পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানান, ইভটিজিংয়ের বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। ভিকটিমের গাড়িটি অন্য গাড়িটিকে ধাওয়া করছিল বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন- Royal Bengal Tiger: সুন্দরবনে মাঝ নদীতে রয়্যাল দর্শন! প্রকাণ্ড বাঘের সাঁতরে যাওয়ার ছবি মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি