Mount Everest conqueror Piyali Basak has opened a stall at Chandannagar Book Fair: তিনি মাউন্ট এভারেস্ট (Mount Everest) জয় করেছেন। অন্নপূর্ণা, মাকালু, লোৎসে-র মতো দুর্গম পৃথিবীর অন্যতম সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলিও জয় করেছেন আংশিক অক্সিজেন নিয়ে। সেই 'পর্বতকন্যা'কেই এবার দেখা গেল নতুন ভূমিকায়। তিনি চন্দননগরের গর্ব পিয়ালী বসাক (Piyali Basak)। রবিবার থেকে চন্দননগর হাসপাতাল মাঠে শুরু হয়েছে বইমেলা। আর এই বইমেলার ৫৮ নম্বর স্টলে কিছু পর্বতারোহণের সরঞ্জাম নিয়ে বিক্রেতার ভূমিকায় নেমেছেন স্বয়ং পিয়ালী।
পিয়ালীর স্টলে বিদেশি ফেদার জ্যাকেট (-৪০ ডিগ্রি), সিলিকন জ্যাকেট (-১০ডিগ্রি), ওয়াটারপ্রুফ জুতো, (ট্রেকিং বুট) ওয়াটারপ্রুফ গ্লাভস, ফ্লিস লোয়ার উইন্টার প্রভৃতি সরঞ্জাম মিলছে। নামমাত্র টাকায় সেই সব সামগ্রী বিক্রি করছেন পিয়ালী।
দক্ষ পর্বতারোহী হঠাৎ বিক্রেতার ভূমিকায় ? এই প্রশ্নের উত্তরে পিয়ালী বলেন, "পর্বতারোহণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হয়েছি। ট্রেকিং-এ গেলে বহু মানুষ সঠিক পোশাক না থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে যান, অনেকে মারাও যান। হাইপোথার্মিয়া হয়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমে যায়। ফলে হার্টফেল হয়ে যায় অনেকের, আবার কারও-কারও ফ্রস্ট-বাইট হয়। হাত-পা ঠান্ডায় নীল হয়ে যায়। ব্রেনস্ট্রোক পর্যন্ত হয়, শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। এই সমস্ত উপসর্গ হবেই যদি না শরীর ঠিক মতো কভার থাকে।" পর্বতারোহণে উৎসাহীদের কাছে এই সব সামগ্রী সুলভে পৌঁছে দিতেই পিয়ালীর এই প্রয়াস।
পিয়ালী আরও বলেন, "উঁচু পর্বতে তুষারপাত হতে পারে। তার জন্য শরীর যাতে না ভেজে তার জন্য চাই সঠিক ওয়াটার প্রুফ জুতো, গ্লাভস, প্যান্ট, ইনার এবং জ্যাকেট। এগুলো দেশে পাওয়া সহজ নয়। পাওয়া গেলেও সেগুলো প্রচণ্ড দামী। আমি নেপালের পর্বতরোহণের জন্য যেসব ব্র্যান্ড বিখ্যাত তাদের থেকে ধার করে কিছু সামগ্রী এনেছি বিক্রির জন্য। আমার কাছে ম্যামুটের ফেদার জ্যাকেট আছে যা (-৪০) ডিগ্রিতে পরতে পরা যায়। দ্য নর্থ ফেসের সিলিকন জ্যাকেট যা (-১০) ডিগ্রিতে পরা যাবে।"
আগামী মার্চ মাসের শেষেই তিনি শিশাপাংমা পর্বত অভিযানে যাবেন। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলির মধ্যে ১৪ তম শৃঙ্গ এই শিশাপাংমা। ৮০১৩ মিটার এই শৃঙ্গে এখনও অবধি মাত্র একজন ভারতীয় পর্বতারোহী উঠতে পেরেছেন গত বছরে। তিব্বত হয়ে যেতে হয়। ওই পর্বত শৃঙ্গ আরোহণ করতে গিয়ে ২৫ জন অভিযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। পিয়ালীর কথায়, "খুবই বিপজ্জনক শৃঙ্গ। বরফের ধস নামে। তবুও আমি ওখানে যাব। অক্সিজেন না নিয়েই উঠব। ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। ক্রাউড ফান্ডিং-এর আশাতেই যাব।"