/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/06/suti-2025-08-06-12-44-45.jpg)
Suti Police Station: সুতি থানা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF-এর কাছে আধার কার্ড জমা দিয়ে চাষ করতে গিয়ে চর এলাকায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক কৃষকের। মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ থাকার পর আজ বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার জগতাই শ্মশানঘাট সংলগ্ন বর্ডার থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কৃষকের নাম নুরুদ্দিন শেখ (৫০)। তার বাড়ি সুতি থানার দেবীপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকের কাজ করেন নুরুদ্দিন নামে ওই ব্যক্তি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিজস্ব জমি রয়েছে তার।
সুতি থানার জগতাই শ্মশানঘাট সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কৃষি জমি রয়েছে ওই ব্যক্তির। ওই এলাকার কৃষকদের শ্মশানঘাট বিএসএফ ক্যাম্পে আধার কিংবা ভোটার কার্ড জমা দিয়ে চাষ করতে যেতে হয়। শুধু নুরুদ্দিন নয়, এলাকার বহু কৃষক নিয়মিত বিএসএফকে ভোটার কার্ড জমা দিয়েই চাষ করতে যান।
অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার ভোরে সুতি থানার জগতাই শ্মশানঘাট সংলগ্ন বিএসএফ ক্যাম্পের আধিকারিকদের ভোটার কার্ড জমা করে খাতায় নাম নথিভুক্ত করে চাষ করতে গিয়েছিলেন নুরুদ্দিন। কিন্তু তিনি আর ফেরেননি।
পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে অবশেষে বিএসএফ ক্যাম্পে যান। কিন্তু অভিযোগ, দায়িত্বরত জওয়ানরা পরিবারের লোকজনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন নুরুদ্দিন চাষ করে বাড়ি চলে গেছে। স্বাভাবিক কারণেই তারা বাড়ি ফিরে আসে।
আরও পড়ুন-West Bengal News live updates:সাতসকালে কলকাতায় মৃতদেহ উদ্ধার, খুন না নেপথ্যে অন্য কারণ? তদন্তে পুলিশ
কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেলেও ওই কৃষক বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে সুতি থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় বিএসএফের পক্ষ থেকে রাতেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-waterlogging: ৪ বছর ধরে জলবন্দি এলাকা, ভাঙল ধৈর্য্যের বাঁধ! তিতিবিরক্ত বাসিন্দারা শেষমেশ যা করলেন...
যদিও বুধবার সকালে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিএসএফের নেতৃত্বে আরও একটি টিম যেতেই নুরুদ্দিন শেখ নামে ওই কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপরেই নৌকাতে চাপিয়ে মৃতদহ নিয়ে এসে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় সুতি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে। মৃত্যুর সঠিক কারণ ক্ষতি দেখছে পুলিশ।
এদিকে কৃষকের মৃত্যু হলেও বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি, আধার কিংবা ভোটার কার্ড জমা দিয়ে কৃষকেরা চাষ করতে গেলেও তারা ফিরে এল কিনা সে বিষয়ে দায়িত্ব বিএসএফেরই থাকে। কিন্তু ওই কৃষক বাড়ি না ফিরলেও কেন BSF ওই ব্যক্তি বাড়ি ফিরে এসেছেন বলে জানালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।