BJP TMC tie‑up:নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP-র আসন সমঝোতার অভিযোগ উঠল। ভোটের খরচ বাঁচাতে এমন সমঝোতার পথ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের মনুচক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চর্চা ছড়িয়েছে এলাকায়। CPM-এর দাবি, নিজেদের পিঠ বাঁচাতে আসন রফা করেছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ১২ আসন বিশিষ্ট এই সমবায় পরিচালন বোর্ড প্রতিনিধি নির্বাচন রয়েছে আগামী ১৭ আগস্ট।
মঙ্গলবার ছিল ওই সমবায় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। জানা গিয়েছে, BJP-র তরফে ৯টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রে। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এভাবেই আসন রক্ষা করেছেন বলে এলাকার মানুষের দাবি। এলাকার মানুষের দাবিকে জোরালো ভাবে সমর্থন জানিয়েছে স্থানীয় সিপিএম।
শুধু তাই নয় এই সমঝোতা বজায় রাখতে সিপিএমকে মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। সিপিএমের নন্দীগ্রাম উত্তর এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহাদেব ভূঁইয়া বলেন, "মনুচক সমবায় ভোটের জন্য আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম। কিন্তু ভয় দেখিয়ে আমাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ৯টি আসনে এবং তৃণমূল কংগ্রেস তিনটি আসনে নিজেদের মধ্যে আসন রফা করেছে।"
আরও পড়ুন- West Bengal News live updates:সাতসকালে কলকাতায় মৃতদেহ উদ্ধার, খুন না নেপথ্যে অন্য কারণ? তদন্তে পুলিশ
যদিও এই বিষয়টি BJP কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্টভাবে স্বীকার করছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গকে ফোন করা হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি কিছুই বলতে চাননি।
আরও পড়ুন-waterlogging: ৪ বছর ধরে জলবন্দি এলাকা, ভাঙল ধৈর্য্যের বাঁধ! তিতিবিরক্ত বাসিন্দারা শেষমেশ যা করলেন...
অন্যদিকে বিজেপির স্থানীয় ৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি ধনঞ্জয় ঘড়া বলেন, "সমবায় ভোটে কোনও রাজনৈতিক রং থাকে না। তবে একটি ভোটের জন্য যথেষ্ট খরচ হয়। তা এড়ানোর জন্য হয়তো ভোট নাও হতে পারে। যারা রাজনৈতিক প্রসঙ্গ তুলে আসন রফার কথা বলছেন, তার উত্তর ওই সমবায়ের ভোটাররাই বলতে পারবেন।"
আরও পড়ুন-Abhishek Banerjee:বছর ঘুরলেই '২৬-এর ভোট, ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের নেতাদের দুরন্ত নির্দেশ অভিষেকের
সমবায়ের ম্যানেজার শেখ রেজাউল বলেন, "এই সময়ে মোট ১২টি আসন। ভোটের জন্য সব মিলিয়ে ১২টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। স্বাভাবিকভাবে আর ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না।" তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা শেখ আলরাজি বলেন, "ভোটের খরচ বাঁচাতে ওই সমবায়ের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে থাকতে পারেন।"