Saraswati Puja:বাড়িতে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পুজো (Saraswati Puja) করে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর সাইফুল বিশ্বাস। রীতিমতো ঘটা করে তাঁর বাড়িতে সরস্বতী পুজো হয়। সেই পুজোয় হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিম শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। দুই সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে গলা মিলিয়ে পুষ্পাঞ্জলিও দেয়। দেবী সরস্বতীকে আঁকড়ে সাইফুল বিশ্বাসের বাড়ি যেন সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিলনক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল।
সাইফুল বিশ্বাস পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ধারাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাড়িতেই রয়েছে 'উৎকর্ষ বাংলা' সেন্টার। হিন্দু, মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের সেখানে ফ্যাশন ডিজাইনিং ছাড়াও জামাকাপড় তৈরি সহ সেলাইয়ের নানা প্রশিক্ষণ নেন। সাইফুল বিশ্বাসের বাড়িতে চলা 'উৎকর্ষ বাংলা' সেন্টারে সরস্বতী পুজো করার জন্য হিন্দু শিক্ষার্থীরা আবেদন রেখেছিলেন। সেই আবেদন সাইফুল বিশ্বাস ফিরিয়ে দেননি। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে তিনি তাঁর বাড়িতে সরস্বতীর পুজোর যাবতীয় আয়োজন করেন।
প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে প্রতিমার সামনে আলপনা দেওয়া কোনও কিছুতেই খামতি থাকেনি। যেহেতু সাইফুল বিশ্বাসের বাড়িতেই বিদ্যার দেবীর পুজো হচ্ছে তাই তাঁর স্ত্রী প্রতিমা সরকার বিশ্বাস,পুত্র রাহুল বিশ্বাসও পুজোয় সামিল হন। পুজোর জোগাড়েও তাঁরা হাত লাগান। পুজোর আরতি থেকে শুরু করে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া সবই হয় নিষ্ঠা সহকারে। ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে গলা মিলিয়ে শিক্ষার্থী পূজা বিশ্বাস, কাকলি বিবি, অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা পুষ্পাঞ্জলি দেয়। পুজো শেষে সকলের মধ্যে প্রসাদও বিতরণ হয়।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় নেমে তলিয়ে গেলেন যুবক, পরের ঘটনা জানলে আঁতকে উঠবেন!
পুজোয় অংশ নিয়ে খুশি কাকলি বিবি। তিনি বলেন, "সাইফুল বিশ্বাসেরর বাড়িতে চলা উৎকর্ষ সেন্টারে আমরা সেলাই শিখতে আসি। আগে এই সেন্টারে বিশ্বকর্মা পুজো হয়েছে। তাতেও আমরা সামিল হয়েছিলাম। আমরা যেহেতু শিক্ষার্থী তাই বিদ্যার দেবী সরস্বতীর কাছে আমি সহ সেন্টারের সকল শিক্ষার্থীরাই এদিন পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা মিলে আনন্দে দিনটা কাটিয়েছি।"
আরও পড়ুন- AC Local Train: শিয়ালদা-হাওড়া ডিভিশনে AC লোকাল ট্রেন? ভাইরাল ছবিতে খুশিতে ডগমগ যাত্রীরা
সাইফুল বিশ্বাস বলেন, "হিন্দু-মুসলমান সকলেই আমরা এখানে একসঙ্গে থাকি। আমি মুসলিম পরিবারের সন্তান হলেও আমার বাড়িতে চলা উৎকর্ষ সেন্টারে হিন্দু ,মুসলিম সব সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছে। সরস্বতী বিদ্যার দেবী, তাই শিক্ষার্থীদের আবেদন মেনে আমি নিজে পুজোর আয়োজন করি। আমার আয়োজন করা সরস্বতী পুজোয় হিন্দু-মুসলিম শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা সকলে অংশ নেন। পুষ্পাঞ্জলিও দেন।"
আরও পড়ুন- Bongaon News: জীবিতকে মৃত দেখিয়ে জাল সার্টিফিকেট, কোটি টাকার সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টার অভিযোগ