Mysterious Death in Tangra:পথ দুর্ঘটনার সূত্র ধরে তদন্ত এগোতেই রোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী খোদ পুলিশ। ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে ধন্দ এখনও যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, এই মৃত্যুর পিছনে পারিবারিক কোনও কারণ থাকতে পারে। আর্থিক কোনও বিষয়ের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশকর্তাদের।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ইএম বাইপাসে একটি পথ দুর্ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ট্যাংরায় একটি বাড়ি থেকে তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বাড়ির তিনটি আলাদা আলাদা ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি দেহ। মৃতদের মধ্যে একজন নাবালিকাও রয়েছে। তাঁর আঘাতের চিহ্ন না মিললেও বাকি দুই মহিলা শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছে পুলিশ। দেহগুলি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা?
গতকাল মাঝরাতে একটি চার চাকা গাড়ি দুর্ঘটনা কবলে পড়ে ইএম বাইপাসে। সেই গাড়িতে দুই ব্যক্তির সঙ্গে একটি বাচ্চাও ছিল। দুর্ঘটনায় আহত হন প্রণয় দে ও প্রসূন দে নামে দুই ব্যক্তি। সম্পর্কে দু'জনে দাদা-ভাই। সেই দুর্ঘটনার সূত্র ধরেই পুলিশ আহতদের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগড় হয় পুলিশ অফিসারদের।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান তৃণমূলের', মমতার 'মৃত্যুকুম্ভ' মন্তব্যকে ধুয়ে দিলেন যোগী
ট্যাংরায় ওই বাড়ির তিনটি আলাদা আলাদা ঘর থেকে তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো হকচকিয়ে যায় দুঁদে পুলিশ অফিসাররাও। বাড়িতে তিন-তিন জন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন, সেই বাড়িরই বাকি তিন জন গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন, এটা নেহাতই একটি দুর্ঘটনা, নাকি মানসিক অবসাদে বা মানসিক আঘাতে গাড়ি নিয়েই আত্মহত্যার পরিকল্পনা ছিল দুই ভাইয়ের? তাঁদের বাড়িতে দুই মহিলা ও এক নাবালিকার মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রণয় দে এবং প্রসূন দে নামে দুই ভাইয়ের চামড়ার ব্যবসা ছিল। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে দফায় দফায় দুই ভাইকে জেরা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় পরিবারের আর্থিক বিপর্যয়ের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। গতরাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইএম বাইপাসের ধারে মেট্রোর পিলারে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা নাকি এটা দুর্ঘটনা? দুই ভাইকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন- Mamata-Suvendu:'হিন্দু ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেধ, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের গেটে ফলক লাগান', মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
ট্যাংরায় তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই বধূ ও এক কিশোরীর দেহ। দুই মহিলার হাতের শিরা কাটা ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিশোরীর মুখ থেকেও গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। তবে কি দুই ভাই পরিবারের তিনজনকে খুন করার পর নিজেরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। ওই গাড়ির দুর্ঘটনায় দে বাড়ির শিশু পুত্রও আহত হয়েছে। দুই ভাইয়ের সঙ্গে সেও গাড়িতে ছিল। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
আরও পড়ুন- Digha: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন আর মাত্র কিছুদিনেই, পুণ্যার্থী-পর্যটকদের সুরক্ষায় অভূতপূর্ব ব্যবস্থা
এদিকে ট্যাংরার এই ঘটনা নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেছেন, "পুরো বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার পিছনে আর্থিক কোনও কারণ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।" এদিন ট্যাংরার ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) রূপেশ কুমার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও।