/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/24/Lno8sU6y5Ee1NxPGeX5y.jpg)
Narendra Modi on Pahalgam Attack: কাশ্মীরের পহেগাঁওয়ে নারকীয় জঙ্গি হামলা নিয়ে এবার আগুনে হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনিতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মোদী। অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশ্যে চরমবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্বরোচিত জঙ্গি হামলা নিয়ে মোদী এদিন বলেছেন, "হামলা কেবল নিরীহ পর্যটকদের ওপরেই হয়নি। দেশের শত্রুরা ভারতের আত্মার ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভেঙে দেবে। কল্পনাতীত শাস্তি দেব।"
প্রধানমন্ত্রী এই নারকীয় ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন আরও বলেছেন, "কেউ নিজের ছেলে, কেউ নিজের ভাই, কেউ বা স্বামীকে হারিয়েছেন। ওদের কেউ বাংলার, কেউ কর্নাটকের, কেউ মহারাষ্ট্রের, কেউ গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন। সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের দেশের আত্মার ওপর আক্রমণ করেছে। বিহারের মাটি থেকে শপথ নিচ্ছি এবং সমগ্র বিশ্বকে বলছি, ভারত সমস্ত সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সহযোগীদের খুঁজে বের করবেই। তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তিও দেবে।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার আঁচ কলকাতায়, পাকিস্তানের পতাকা পোড়ালেন শুভেন্দুরা
বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনির ওই সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান। পহেলগাঁওয়ে নিহত পর্যটকদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এদিন নীরবতা পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের পাশাপাশি বৈঠকে দেশের অন্য বিরোধী দলের নেতারাও হাজির থাকবেন। পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে সেই বৈঠকে।
পহেলগাঁওয়ে এই জঙ্গি হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের জড়িত থাকার তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। গতকালই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি। ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, "সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করে এমন প্রতিবেশী দেশের সাথে জল ভাগাভাগি সম্ভব নয়।"
সেই সঙ্গে দিল্লিতে থাকা পাকিস্তানি দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক কর্মীদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে সব পাকিস্তানি নাগরিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আটারি-ওয়াঘা সীমান্তও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একমাত্র স্থায়ী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, আটারি চেকপোস্টটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে।