প্রথম রাউন্ডে রণে ভঙ্গ দেওয়ার পর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ছাড়াই নবান্ন অভিযান রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হল দ্বিতীয় রাউন্ডে। শুভেন্দু অধিকারীকে মহিলা পুলিশ গ্রেফতার করার পরে আন্দোলনের রেশ বাড়ল সাঁতরাগাছিতে। কলকাতায় পুড়ে ছাই হল পুলিশের গাড়ি, হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে ব্যাপক ইঁট বৃষ্টি চলল পুলিশের ওপর। পলিশের ইঁট ছোড়ার দৃশ্যও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, গেরুয়া শিবিরের নয়া কৌশলে নাজেহাল পুলশ।
Advertisment
নবান্ন অভিযানের প্রথম রাউন্ডে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি, জলকামান, হাতে গোনা কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো, দু'পক্ষের সামান্য ইঁট ছোড়াছুঁড়িতেই আন্দোলন ফিকে হয়ে যায়। পরিস্থিতির আমূল বদল ঘটে যায় দ্বিতীয় রাউন্ডে। যখন মনে হচ্ছিল বিজেপি কর্মীরা রণে ভঙ্গ দিয়েছেন ঠিক তখনই নবান্ন অভিযানের তেজ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যারাকপুর থেকে বাড়তি বাহিনী আসে সাঁতরাগাছিতে।
এদিন কলেজ স্ক্যোয়ার থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। হাওড়ামুখী রবীন্দ্র সেতুতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল, রাখা হয়েছিল জলকামানও। মিছিল রবীন্দ্রসেতুর মুখে পৌঁছানো মাত্র তা ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
শুভেন্দুকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাঁতরাগাছি এলাকা। দফায় দফায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাথর ছুড়তে থাকে আন্দোলকারীরা। পুলিশ একটা সময় পিছু হটতে বাধ্য হয়। সারা রাস্তা ইঁট-পাথরের টুকরোতে ভরে গিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করতে থাকে, শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়তে হবে। তা নাহলে ঘটনাস্থল ছাড়বে না বলেও আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেয়।