Falakata Incident: "সরকারের উপর আস্থা নেই, তাই গ্রামের লোকজন আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন।" আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় নিহত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর এমনই মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ফালাকাটার ঘটনায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্ট ঘিরেও জোরদার আলোচনা।
আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ওই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়। তাকে টেনে এনে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে ক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছোয় ফালাকাটা থানার পুলিশ। কোনও মতে উত্তেজিত জনতার রোষের হাত থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরবর্তী সময়ে নাবালিকা খুনে ধৃত আরও একজনের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয় গ্রামবাসীরা। শনিবার দিনভর ন্যায় বিচারের দাবিতে ফালাকাটায় প্রবল বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। এদিকে শনিবারই ফালাকাটায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, "রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি। আইনি লড়াইয়ে পরিবারের পাশে থাকতে চাই। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। শিশুকন্যারাও বাদ যাচ্ছে না। গ্রামের লোকজন আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর ওপর বা সরকারের ওপর তাদের আস্থা নেই।" ফালাকাটার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘিরে জোরদার আলোচনা বেড়েছিল।
আরও পড়ুন- Kaliachak Incident: তালিবানি কায়দায় বীভৎস অত্যাচার! কালিয়াচকের এই ঘটনা জানলে আঁতকে উঠবেন!
এক্স হ্যান্ডলে কী লিখেছিলেন কুণাল ঘোষ?
"আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার ঘটনা জঘন্য। স্থানীয় পূর্বপরিচিতদের মধ্যেই পাশবিক প্রবৃত্তি থেকে এই কুৎসিত সামাজিক অপরাধ। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। এর সঙ্গে সাধারণ আইনশৃঙ্খলার কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় মানুষ এক অভিযুক্তকে যে পিটিয়েছেন, সেটা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, দোষের কিছু নয়, এমনকি লোকটি মারা গেলেও যেন বাসিন্দাদের কোনো জটিল আইনি গেরোয় না পড়তে হয়। পাশবিক প্রবৃত্তি দেখালে তার সমুচিত প্রতিক্রিয়াও হবে।"
আরও পড়ুন- Crime News: দিদি ডাকতেই সব ফেলে ছুটে গিয়েছিল ভাই, ফোঁটা নেওয়ার আগেই মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের!
আরও পড়ুন- Digha: কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার 'নয়া রুট', দুরন্ত প্ল্যান! নিমেষে পৌঁছোতে পারেন সৈকতনগরীতে
"কিন্তু প্রশ্ন হল, এই যে ধর্ষণ, খুনের ঘটনা, জঘন্যতম অপরাধ, ফাঁসি, গ্রেপ্তার, ধিক্কার, আন্দোলন, মিডিয়ার প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়ার সক্রিয়তার পরেও থামে না কেন? ধনঞ্জয় বলুন, বা দিল্লির নির্ভয়ার খুনিরা, ফাঁসি দিয়েও সমাজে এই বিকৃত রোগটা কমানো যায় না কেন? শুধু বাংলা নয়, সারা দেশে ঘটছে, অতীতে বাংলাতে আরও বেশি ঘটত, এটা কেন? এই যে আরজিকর নিয়ে এত প্রতিবাদ, প্রচার, তার পরেও বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন এই ঘটনা ঘটে কী করে? তাহলে কি এসব প্রতিবাদ সেই পশুদের স্পর্শ করে না? এই প্রবৃত্তি শুধু পুলিশ দিয়ে, ফাঁসি দিয়ে থামানো যায় না, অতীত থেকে প্রমাণিত, তাহলে? এটা রাজনীতির উপাদান না, সমাজের চিন্তার বিষয়। এক নাবালিকা যদি তার পরিচিত বয়ঃজ্যেষ্ঠের কাছে নিরাপদ থাকতে না পারে, তাহলে এই সমাজ কোন্ দায়িত্ব পালন করছে? শুধু একে অপরের দিকে আঙুল তোলার? ছিঃ।"
Suvendu Adhikari: 'সরকারে আস্থা নেই, আইন হাতে নিচ্ছেন মানুষই', ফালাকাটায় 'ধর্ষক' মৃত্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর
Falakata Incident: আলিপুরদুয়াররে ফালাকাটায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তারই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করে ক্ষুব্ধ জনতা। পরে হাসপাতালে ওই ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়।
Follow Us
Falakata Incident: "সরকারের উপর আস্থা নেই, তাই গ্রামের লোকজন আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন।" আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় নিহত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর এমনই মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ফালাকাটার ঘটনায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্ট ঘিরেও জোরদার আলোচনা।
আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ওই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়। তাকে টেনে এনে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে ক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছোয় ফালাকাটা থানার পুলিশ। কোনও মতে উত্তেজিত জনতার রোষের হাত থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরবর্তী সময়ে নাবালিকা খুনে ধৃত আরও একজনের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয় গ্রামবাসীরা। শনিবার দিনভর ন্যায় বিচারের দাবিতে ফালাকাটায় প্রবল বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। এদিকে শনিবারই ফালাকাটায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, "রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি। আইনি লড়াইয়ে পরিবারের পাশে থাকতে চাই। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। শিশুকন্যারাও বাদ যাচ্ছে না। গ্রামের লোকজন আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর ওপর বা সরকারের ওপর তাদের আস্থা নেই।" ফালাকাটার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘিরে জোরদার আলোচনা বেড়েছিল।
আরও পড়ুন- Kaliachak Incident: তালিবানি কায়দায় বীভৎস অত্যাচার! কালিয়াচকের এই ঘটনা জানলে আঁতকে উঠবেন!
এক্স হ্যান্ডলে কী লিখেছিলেন কুণাল ঘোষ?
"আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার ঘটনা জঘন্য। স্থানীয় পূর্বপরিচিতদের মধ্যেই পাশবিক প্রবৃত্তি থেকে এই কুৎসিত সামাজিক অপরাধ। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। এর সঙ্গে সাধারণ আইনশৃঙ্খলার কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় মানুষ এক অভিযুক্তকে যে পিটিয়েছেন, সেটা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, দোষের কিছু নয়, এমনকি লোকটি মারা গেলেও যেন বাসিন্দাদের কোনো জটিল আইনি গেরোয় না পড়তে হয়। পাশবিক প্রবৃত্তি দেখালে তার সমুচিত প্রতিক্রিয়াও হবে।"
আরও পড়ুন- Crime News: দিদি ডাকতেই সব ফেলে ছুটে গিয়েছিল ভাই, ফোঁটা নেওয়ার আগেই মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের!
আরও পড়ুন- Digha: কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার 'নয়া রুট', দুরন্ত প্ল্যান! নিমেষে পৌঁছোতে পারেন সৈকতনগরীতে
"কিন্তু প্রশ্ন হল, এই যে ধর্ষণ, খুনের ঘটনা, জঘন্যতম অপরাধ, ফাঁসি, গ্রেপ্তার, ধিক্কার, আন্দোলন, মিডিয়ার প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়ার সক্রিয়তার পরেও থামে না কেন? ধনঞ্জয় বলুন, বা দিল্লির নির্ভয়ার খুনিরা, ফাঁসি দিয়েও সমাজে এই বিকৃত রোগটা কমানো যায় না কেন? শুধু বাংলা নয়, সারা দেশে ঘটছে, অতীতে বাংলাতে আরও বেশি ঘটত, এটা কেন? এই যে আরজিকর নিয়ে এত প্রতিবাদ, প্রচার, তার পরেও বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন এই ঘটনা ঘটে কী করে? তাহলে কি এসব প্রতিবাদ সেই পশুদের স্পর্শ করে না? এই প্রবৃত্তি শুধু পুলিশ দিয়ে, ফাঁসি দিয়ে থামানো যায় না, অতীত থেকে প্রমাণিত, তাহলে? এটা রাজনীতির উপাদান না, সমাজের চিন্তার বিষয়। এক নাবালিকা যদি তার পরিচিত বয়ঃজ্যেষ্ঠের কাছে নিরাপদ থাকতে না পারে, তাহলে এই সমাজ কোন্ দায়িত্ব পালন করছে? শুধু একে অপরের দিকে আঙুল তোলার? ছিঃ।"