Puri temple stampede: পুরীতে রথযাত্রার সময় ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তিনজন ভক্তের। মৃতদের মধ্যে দুই মহিলা রয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার ভোর ৪.৩০ নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে শ্রী গুণ্ডিচা মন্দিরের সামনে, যেখানে ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথ পৌঁছেছিল। উল্লেখ্য, গুণ্ডিচা মন্দির জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং রথযাত্রার গন্তব্যস্থল। দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম প্রভাতী দাস, বাসন্তী সাহু এবং ৭০ বছরের প্রেমকান্ত মহান্তি। তিনজনই খুরদা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে এসেছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, হঠাৎ করেই সেই সময় প্রচণ্ড ভিড় জমে যায় এবং কয়েকজন পড়ে গেলে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ভিড় সামলানোর মত পর্যাপ্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল না বলে অভিযোগ।
পুরীর জেলা শাসক সিদ্ধার্থ শঙ্কর স্বাইন বলেন, মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পরেই স্পষ্ট হবে। তিনি দাবি করেন, যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু ভিড় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
রথযাত্রায় প্রতি বছর লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। এই দুর্ঘটনার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রথযাত্রার সূচিতে বিলম্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেডি সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক। তিনি বলেন, “এটা একেবারে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি। আমাদের শুধু প্রার্থনাই করা উচিত। যারা এই পবিত্র উৎসবকে বিশৃঙ্খলার আবরণে ঢেকে দিলেন, মহাপ্রভু জগন্নাথ যেন তাদের ক্ষমা করেন"। অপরদিকে, ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন নবীন পট্টনায়েকের নাম না করেই বলেন, “বিজেডি সরকার অতীতে বারবার ভুল করেছে এবং ভগবান জগন্নাথকে অপমান করেছে"।
এদিকে পুরীর রথযাত্রায় হুড়োহুড়িতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর গভীর শোকপ্রকাশ করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মজহি। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শ্রদ্ধাবলি এলাকায় মহাপ্রভুর দর্শন পাওয়ার প্রবল উৎসাহে ভক্তদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেই কারণেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমার সরকার সকল জগন্নাথ ভক্তের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”