/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/26/U26iwPWhLYj9hycSMEex.jpg)
Panskura Police Station: পাঁশকুড়া থানা।
Shopkeeper accused in Panskura: পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় এলাকায় 'চিপস' চুরির দায় মাথায় নিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রটি। যে দোকানদার অর্থাৎ পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তিনি-সহ তার পরিবারে মোট চারজনের বিরুদ্ধে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মৃত সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রের মা সুমিত্রা দাস।
পাঁশুকুড়া থানার সামনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের শাস্তির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে BJP। এমনকী 'চিপস'-এর প্যাকেট গলায় ঝুলিয়ে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ওই দোকানমালিকের কঠোর শাস্তির দাবি করে তারা।
কুড়কুড়ে চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে সেই ছাত্রের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানদার তথা সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত রবিবার বিকেলে পাঁশকুড়া এলাকার এক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র বিকেলে সাইকেল নিয়ে একটি দোকানে চিপস কিনতে যায়। দোকানে সেই সময় দোকানদার ছিলেন না। বেশ কয়েকবার দোকানদার শুভঙ্কর দীক্ষিতকে ডাকাডাকি করেও তার সাড়া মেলেনি। এমন সময় রাস্তার ওপর তিনটে চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে ওই ছাত্রটি। এরপর তিনটি চিপসের প্যাকেট তুলে নিয়ে সাইকেলে করে বাড়ির দিকে রওনা দেয় ছাত্রটি।
ঠিক সেই সময়ে দোকানদার চলে আসে। ছাত্রটিকে চিপসের প্যাকেট নিয়ে যেতে দেখে মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করে। ওই ব্যক্তি ধরে ফেলে ছাত্রটিকে। তাকে চোর অপবাদ দেয়। সেই সময় ওই ছাত্রটি পকেট থেকে ২০ টাকার নোট বের করে দোকানদারকে দেয়। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত দোকানদার একজন সিভিক ভলান্টিয়ারও।
টাকা নেওয়ার পরেও সবার সামনে চোর অপবাদ দিয়ে ওই ছাত্রটিকে কান ধরে ওঠবোস করিয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। এই অপবাদ সহ্য করতে না পেরে ছাত্রটি বাড়িতে এসে সকলের নজর এড়িয়ে চাষের কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার করে। পরিবারের লোকজনেরা তাকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতিতে তমলুক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ছাত্রটিকে। বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রটির মৃত্যু হয়।
এরপরেই অভিযুক্ত দোকানদারের শাস্তির দাবি করে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার রাতে দোকানদারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় ক্ষিপ্ত মানুষজন। পুলিশ গেলে পুলিশের সাথেও এলাকাবাসীর তুমুল বচসা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে।