misti utsav in digha: বছরের শুরুতেই পর্যটকদের মন কাড়তে সৈকতনগরী দিঘায় (Digha) মিষ্টি উৎসব। দিঘায় এই মিষ্টি উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৬ হাজার মিষ্টি ব্যবসায়ী এই মিষ্টি উৎসবে অংশ নিয়েছেন। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে বরাবরই দিঘা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এহেন দিঘায় বছরের শুরুতে এই ধরনের আকর্ষণীয় একটি প্রোগ্রাম হওয়ায় যারপরনাই খুশি পর্যচকরা। মিষ্টিরসে নিজেদের ডুবিয়ে দিচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। নানা রকমের মিষ্টির পসরা নিয়ে ৪০ থেকে ৫০টি স্টল রয়েছে উৎসব প্রাঙ্গমে। বিভিন্ন স্বাদের রসগোল্লার পাশাপাশি মিষ্টিপ্রেমীদের মন কাড়ছে ছানার মুড়কি, জলভরা, সরপুরিয়া, অমৃতির মতো জিভে জল আনা সব মিষ্টির পদ।
পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির তরফে এই মিষ্টি উৎসবের আয়োজন করা হয় দিঘায়। হরেক রকম মিষ্টির স্টলের পাশাপাশি উৎসব প্রাঙ্গণের স্টলে মিলছে মিষ্টি তৈরির নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। যা দিয়ে অতি সহজেই বানানো যাবে নানা স্বাদের সুস্বাদু মিষ্টি। মিষ্টি উৎসব থেকে সরাসরি ব্যবসায়ীরাও সেই সব যন্ত্রপাতি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।
এবার দিঘায় মিষ্টি হাব তৈরির প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাবেন বলে স্থির করেছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) মিষ্টির জন্য ১০টি স্টল রাখার আবেদন জানিয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। এদিকে দিঘায় মিষ্টি হাব প্রসঙ্গে মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও বিধায়ক অখিল গিরিরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজারহাটে মিষ্টির জন্য জমি দিয়েছেন।
মিষ্টি ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন দিঘাতেও একটা মিষ্টি হাব হোক। তাঁরা মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সেই আবেদনপত্রটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, নতুন বছর শুরুর আবহে ভিড়ে থিক থিক করছে সমুদ্রনগরী দিঘা। দিঘার হোটেল-লজগুলি কানায়-কানায় পূর্ণ। দিঘায় বেড়াতে এসে এবার এই মিষ্টি উৎসব যেন নতুন বছরে পর্যটকদের কাছে দারুণ উপহারের মতো। সন্ধেয় সমুদ্র পাড়ে বেড়ানোর অছিলায় অনেকেই ঢুঁ মারছেন এই মিষ্টি উৎসব প্রাঙ্গণে। জিভে জল আনা সব মিষ্টির স্বাদ নিচ্ছেন চেটেপুটে, অনেকেই ব্যাগ-ভর্তি করে মিষ্টি সঙ্গে নিয়ে তবেই হোটেলের পথ ধরছেন।