Suvendu Adhikari-RG Kar Case: কোচবিহারেই যত ঘটনা। দিনহাটার পর মাথাভাঙা। এখানে আরজি করে নিহত তরুণীর বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, "বিরোধী দল যেমন পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয় ঠিক তেমন ভাবে মাথাভাঙায় সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহারে যে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন চলছে এটা তার খণ্ড চিত্র। ২৮ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোঁস করার কথা বলার পর থেকে এমন ঘটনা ঘটছে। দলের সাংসদ, বিধায়করা মুখে যা আসছে বলছেন। মাথাভাঙা থানা থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে।" পুলিশ এই ঘটনায় নিষ্ক্রিয় ছিল বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরজি করে তরণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ২৭ দিনে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত একজন গ্রেফতার হয়েছে। সিবিআই খুন ও দুর্নীতির তদন্ত হাতে পাওয়ার পর ৪ জন গ্রেফতার হলেও তাঁরা সবাই দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত। সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই পতাকা ছাড়াই পথে নামছেন বিচারের দাবিতে। গতকাল রাজ্য জুড়ে রাত দখল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী মনে করছেন শান্তি ও অহিংসা আন্দোলন দিয়ে কিছু হবে না।
বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, "বিচারের লড়াইয়ে নেতাজির পথ ধরে আন্দোলনই সমস্যা সমাধানের উপায়। ওই শান্তি, অহিংসা করে কিছু হবে না। গত ২৭ অগাস্ট ছাত্র সমাজ দেখিয়েছেন ওই পথে যেদিন হাঁটবেন সেদিন ওরা শিক্ষা পাবে। এসব জিনিসে শিক্ষা পায় না। গোলাপফুল, মিষ্টিতে শিক্ষা পাবে না। এসব কথাই বোঝে না। প্রতিবাদের যে নানা ভাষা আছে, সেই ভাষাজ্ঞান এদের নেই। এদের জন্য একমাত্র দরকার লাঠ্যাঔষধ।"
আরও পড়ুন- RG Kar Protest: মিছিলে হামলা-মারধর, মুছল 'জাস্টিস ফর আরজি কর', কাঠগড়ায় তৃণমূল, কুণাল কী বললেন?
নন্দীগ্রামের বিধায়কের স্পষ্ট কথা, "আমার এলাকায় পূর্ব মেদিনীপুরে করে রেখেছি। কাঁচাবাশের লাঠি কেটে রেখেছি। প্রতিবাদ করছি। আমাদের লোক জখম হয়, আমাদের লোক জেলে যায়। আমরা সেভ প্যাসেজে লড়াই করি না। ভয় পাচ্ছে জনগণকে। এই আন্দোলনটা ক্রমশ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের বিপক্ষে যাচ্ছে। তাই এমন আক্রমণ। পতাকা ধরার দরকার নেই আন্দোলন করুন নেতাজির পক্ষে। দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।"
বিজেপি মাথাভাঙা নিয়ে কর্মসূচি নিতে চলেছে। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, "তৃণমূলের বিশ্বজিৎ রায়ের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।" অন্যদিকে, মাথাভাঙার আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না বলে জানিয়েছে। নিন্দা করার কথা বলেছে তৃণমূল। পুলিশকে ব্য়বস্থা নিয়ে বলেছে। অশান্তিতে তৃণমূল কর্মীদের জড়াতে নিষেধ করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বক্তব্য। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা খোঁজ নিচ্ছে। বিরোধী দলনেতার দাবি, "তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, বিধায়ক পরশুরাম দাস, অশোকনগরের অতীশ সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল কড়া ব্যবস্থা নিলে এমন ঘটনা ঘটতো না।"
আরও পড়ুন- Road word in Station: বিধাননগর-সহ কয়েকটি স্টেশনের নামের পর কেন 'রোড' লেখা থাকে? জানুন আসল কারণ