/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/18/modi-durgapur-2025-07-18-18-01-13.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
সন্ত্রাসবাদী হামলার উপযুক্ত জবাব দিতে আজকের ভারতে সম্পুর্ণরূপে প্রস্তুত। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জোর দিয়ে বলেন, “জঙ্গি হামলার পর ভারত এখন আর হাত গুটিয়ে বসে থাকে না। বরং উপযুক্ত জবাব দেয়।” তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারত এখন আর পুরনো চিন্তাধারায় আবদ্ধ নয়, বরং দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে সংস্কার এবং আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ধনতেরাসে ধনবর্ষণ ধামাকা! সোনা-রূপার দরে বিরাট বদল, জানুন কলকাতায় আজ কতটা সস্তা হলুদ ধাতু?
মোদী বলেন, “আজকের বিশ্বে অনিশ্চয়তা বাড়লেও, ভারতের জন্য এটি এক বিরাট সুযোগের সময়। আমরা ঝুঁকিকে সংস্কারে, আর সংস্কারকে বিপ্লবে রূপান্তরিত করেছি।” দেশের নিরাপত্তা নীতির পরিবর্তনের দিকেও ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন ভারত সন্ত্রাসবাদের জবাব সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক এবং অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে দেয়। ভারত এখন নীরব দর্শক নয়।”
অর্থনীতির ক্ষেত্রেও ভারতের অগ্রগতিকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন বিশ্ব যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে, তখন ভারত দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। একসময়ের ‘ভঙ্গুর অর্থনীতি'র বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে ভারত আজ বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।”
আরও পড়ুন- শুধু সোনা, রূপা, বাসনপত্র, ঝাড়ুই নয় এই 'জিনিসটি' ধনতেরাসে কিনলেই সোনায় সোহাগা
ভারতের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আজ যখন বিশ্বের সামনে নানা বাধা, তখন ‘অপ্রতিরোধ্য ভারত’-এর কথা বলা স্বাভাবিক। ১৪০ কোটি ভারতীয় পূর্ণ গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমরা থামব না, পিছিয়ে পড়ব না।”
দেশের জনগণকেই ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি বলে আখ্যা দিয়ে মোদী বলেন, “যখন সরকারের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ থাকে না, তখন জনগণ আরও ভালো পারফর্ম করে। জনগণই ভারতের প্রকৃত শক্তি।” ডিজিটাল আর্থিক কাঠামোয় ভারতের সাফল্যের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, “ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ভারত আজ বিশ্বকে ভুল প্রমাণ করেছে। বিশ্ব আজ ভারতকে বিশ্বাসযোগ্য, দায়িত্বশীল এবং সুযোগের দেশ হিসেবে দেখে।”
আরও পড়ুন- ঠিক কোন সময়ে সোনা-রূপা কেনায় দ্বিগুণ সম্পদ-অর্থপ্রাপ্তি, বিরল এই মুহূর্ত সম্পর্কে জানুন
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান, “চিপস থেকে জাহাজ পর্যন্ত, আজ ভারত আত্মনির্ভরতার পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। সংস্কার, উন্নয়ন এবং আত্মবিশ্বাসই ভারতের ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।”