/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/17/police-2025-09-17-10-27-38.jpg)
SSC exam: এসএসসি-র এক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে বিতর্কে জল ঢালল পুলিশ।
Purba Bardhaman News: পূর্ব বর্ধমানের কালনার একটি স্কুলে গত রবিবার SSC-এর একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা শুরুর আগেই বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, এক চাকরিপ্রার্থী গৃহবধূকে তাঁর হাতের নোয়াটি খুলে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে বলেছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এক বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী। এরপরেই ওই সদ্য বিবাহিতা ওই তরুণীর সঙ্গে রীতিমতো কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায় ওই নিরাপত্তাকর্মীর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহল থেকেও তীব্র প্রতিবাদ ওঠে।
ওই গৃহবধূ প্রথমে নিজেই পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, পরীক্ষা দেব না। বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কোনও কোনও মহল প্রশ্ন তোলে নোয়া না খোলায় ওই গৃহবধূকে সেদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন ঢুকতে দেওয়া হয়নি? তবে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফ স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, গত রবিবার SSC-এর একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় নির্বিঘ্নেই কালনার ওই স্কুলে পরীক্ষা দিয়েছেন মণীষা শিকদার নামে ওই গৃহবধূ। তৃণমূল সাংসদ আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ও মনীষা শিকদারের রোল নম্বর প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: পুজোর আগেই বেতন রাজ্য সরকারি কর্মীদের, পেনশনও মিলবে সময়ের আগেই?
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে লিখেছে, "গত রবিবারের SSC পরীক্ষা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার আমাদের নজরে এসেছে। যেখানে অভিযোগ করা হচ্ছে, বর্ধমানের কালনার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে শাঁখা-পলা-নোয়া পরিহিতা পরীক্ষার্থীনীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর করে যা জানতে পেরেছি, তা এরকম।
আরও পড়ুন-Durga Puja 2025: কৃষ্ণনগর রায়বাড়ির ২৭৫ বছরের দুর্গোৎসব: আজও গৃহবধূদের নামেই শুরু হয় সংকল্প
রাজ্যের অন্যত্রের মতো বর্ধমানের ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের মূল প্রবেশপথে পরীক্ষার্থীদের চেকিংয়ের দায়িত্বে ছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থার এক কর্মী এক পরীক্ষার্থীনীকে হলে ঢোকার আগে নোয়া খুলতে বলেন, যেহেতু নোয়াটি ধাতব। পরীক্ষার্থীনী বিষয়টি পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে মিটে যায়, এবং নোয়া পরেই নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে উনি পরীক্ষা দেন।"
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, "পুরো বিষয়টিই একটি বিচ্ছিন্ন ভুল-বোঝাবুঝির ঘটনামাত্র। সব ধর্মেরই প্রচলিত আচরণবিধি সরকারের কাছে সমান সম্মানের। তবু, এর সঙ্গে ধর্মকে জড়িয়ে যাঁরা বিভ্রান্তিকর এবং উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-Kolkata weather Today: বিশ্বকর্মা পুজোয় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, পুজোর মুখে একটানা চলবে দুর্যোগ?
উপরোক্ত ঘটনাটি ছাড়া রাজ্যের কোথাও আর কেউ এই ধরণের কোনও অভিযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে করেননি। যদি কারও সঙ্গে এ ধরণের কিছু ঘটে থাকে, স্থানীয় থানায় জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।"
উল্লেখ্য, গত রবিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন গৃহবধূ মণীষা শিকদার। কালনার হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে তাঁর হাতে থাকা ধাতব নোয়াটি খুলে নিতে বলেন বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নিরাপত্তাকর্মী।
গত রবিবারের SSC পরীক্ষা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার আমাদের নজরে এসেছে। যেখানে অভিযোগ করা হচ্ছে, বর্ধমানের কালনার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে শাঁখা-পলা-নোয়া পরিহিতা পরীক্ষার্থীনীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। ...(১/৫)
— Purba Bardhaman Police (@BurdwanPolice) September 16, 2025
আরও পড়ুন- SSKM-এ নতুন উডবার্ন ওয়ার্ডের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, মিলবে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা?
তখনই ওই মহিলা জানান, নোয়া খুলেই যদি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হয় তাহলে তিনি পরীক্ষাই দেবেন না। সদ্য বিবাহিতা তরুণীর সঙ্গে রীতিমতো বচসা বেধে যায় ওই নিরাপত্তাকর্মীর। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। তবে বিতর্ক বাড়তেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করে। মুহূর্তেই যাবতীয় বিতর্ক মিটে যায়। এরপরেই ওই গৃহবধূ পরীক্ষা দিয়েছেন বলেও স্পষ্ট করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।
SSC-এর নিয়ম অনুযায়ী এবার পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে ধাতব সামগ্রী খোলাটা বাধ্যতামূলক ছিল। সেই কারণেই ওই পরীক্ষার্থীর হাতে নোয়া থাকায় সেটিও খুলতে বলেছিলেন ওই নিরাপত্তাকর্মী। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই তাঁরা হস্তক্ষেপ করেন এবং দ্রুত বিবাদ মিটে যায় এবং ওই গৃহবধূ পরীক্ষাও দেন।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us