New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/03/dVsyEwsG4knZJwE8XZAe.jpg)
West Bengal local crime news: ধৃতের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে নিহতের পরিবার।
Mongalkote rice trader murder: নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
West Bengal local crime news: ধৃতের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে নিহতের পরিবার।
Purba Bardhaman murder: ভারী ওজনের বাটখাড়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে ধান ব্যবসায়ীকে রবীন্দ্রনাথ রায় (৬২)কে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। ধৃতের নাম অমিত মাঝি। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মুরুলিয়া গ্রামে। খুনের ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ শুক্রবার ধৃত অমিথ মাঝিকে পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। বিচারক তাঁকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গতকালই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল মর্গে হয় নিহত ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ রায়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছে নিহতের পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি মঙ্গলকোটের মুরুলিয়া গ্রামে। তিনি ধান কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন। একই এলাকায় বাড়ি যুবক অমিত মাঝির । এলাকাবাসীর কথা অনুযায়ী, রবীন্দ্রনাথ রায় 'ভালো মানুষ' হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। গ্রামের চাষিদের কাছ থেকেই তিনি ধান কিনতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ রায় গ্রামের একটি দোকানে গিয়ে ছিলেন।
গ্রামের যুবক অমিত মাঝি ওই সময় ওই দোকানের কাছেপিঠেই ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী,রবীন্দ্রনাথ রায় যখন দোকান থেকে বিড়ি কিনছিলেন তখন হঠাৎই পাশের একটি দোকান থেকে লোহার ৫ কেজি ওজনের একটি বাটখাড়া তুলে নেয় অমিত।কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই অমিত ওই ভারী বাটখারা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ রায়ের মাথার পিছনে সজোরে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে রবীন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু হয়।
এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাতেই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অমিত মাঝিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অমিত মাঝিকে গ্রেফতার করে। ধৃত অমিত মাঝির মায়ের দাবি, ধান কিনতে এসে রবীন্দ্রনাথ রায় খারাপ ব্যবহার করতেন।
যদিও গ্রামবাসীরা এই অভিযোগ মানতে চাননি। গ্রামবাসীদের অনেকেই জানান, রবীন্দ্রনাথ রায় খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তবুও কেন তাঁকে এভাবে খুন হতে হল সেটা এলাকার কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না। অমিত মাঝিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তারই উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ।