মুখেই খালি 'নারী ক্ষমতায়নের স্লোগান', দেশের মাটিতে বিপন্ন নারী স্বাধীনতা 'তালিবানি' ফতেয়ায় মোদীকে নিশানা রাহুলের

নারী ক্ষমতায়নের 'স্লোগান' স্রেফ ফাঁকা আওয়াজ। তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের প্রবেশ 'নিষিদ্ধ' হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী।

নারী ক্ষমতায়নের 'স্লোগান' স্রেফ ফাঁকা আওয়াজ। তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের প্রবেশ 'নিষিদ্ধ' হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
RAHUL GANDHI,SSC,DELHI,India,PRIYANKA GANDHI

গর্জে উঠলেন রাহুল গান্ধী

নারী ক্ষমতায়নের 'স্লোগান' স্রেফ ফাঁকা আওয়াজ। তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের প্রবেশ 'নিষিদ্ধ' হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে রাহুল বলেন, "এই ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে নীরব থাকা দেশের মহিলাদের প্রতি অসম্মানকেই প্রকাশ করে এবং নারী ক্ষমতায়নের স্লোগানকে ভোঁতা করে দেয়"।

Advertisment

আফগান বিদেশমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকের প্রবেশ 'নিষিদ্ধ', কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় কেন্দ্রকে নিশানা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র'র। 

আরও পড়ুন- দেশেই মিলেছিল বাংলাদেশি তকমা, অন্তঃসত্ত্বা সোনালি সহ ৫ জনকে ভারতে ফেরানোর বড় নির্দেশ বাংলাদেশে আদালতের

Advertisment

আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির দিল্লিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। এই ঘটনার পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) জানিয়েছে, ওই সংবাদ সম্মেলনটি সম্পূর্ণভাবে আয়োজকদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং তাতে ভারতের কোন ভূমিকা ছিল না। এমইএ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—মহিলা সাংবাদিকদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের নয়, বরং আয়োজকদের একান্ত সিদ্ধান্ত। 

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে আফগান বিদেশমন্ত্রীর সফরের দ্বিতীয় দিনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মুত্তাকি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি আশ্বাস দেন যে আফগানিস্তানের মাটিকে কখনও ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করতে দেওয়া হবে না।  

তবে, এই সফরের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন থেকে মহিলা সাংবাদিকদের বাদ দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম এক্স লিখেছেন, “আমি হতবাক। যখন মহিলা সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়া হয়, তখন সেখানে হাজির পুরুষ  সাংবাদিকদের উচিত ছিল প্রতিবাদে অবিলম্বে ওয়াকআউট করা।”

আরও পড়ুন- রাজ্যে আবারও ধর্ষণের শিকার ডাক্তারি পড়ুয়া, ক্যাম্পাসের পাশেই পাশবিক অত্যাচার

এই ইস্যুকে মোদীকে নিশানা করে কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমাদের দেশে মহিলাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। এই ধরনের বৈষম্যের প্রতি আপনার নীরবতা আপনার ‘নারীশক্তি’ স্লোগানের অসারতা প্রকাশ করে।'

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন—“তালিবান মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন থেকে মহিলা সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়া হলো কেন? নারী অধিকারের দাবি কি শুধু নির্বাচনী স্লোগান?”

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রও এই ঘটনাকে “প্রত্যেক ভারতীয় মহিলার প্রতি অপমান” বলে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “তালেবান মন্ত্রীকে মহিলা সাংবাদিকদের বাইরে রাখার অনুমতি দিয়ে সরকার দেশের প্রতিটি মহিলাকে অপমান করেছে। এটি লজ্জাজনক এবং মেরুদণ্ডহীন পদক্ষেপ।”

আরও পড়ুন- পুত্রবধূর হাতে শ্বশুর খুন, আঘাত ও কামড়ের হাড়হিম কাণ্ডে তোলপাড়!

এদিকে, এই ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে। বহু সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তালিবানের নারী-বিরোধী নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 

India-Taliban Taliban modi rahul gandhi