/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/18/cats-2025-09-18-13-30-25.jpg)
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়
রামপুরহাটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী খুনের ঘটনায় উত্তাল পুরো এলাকা। সোমবার স্কুলে প্রবেশের সময় ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের উপস্থিতিতেও গ্রামবাসীরা প্রধান শিক্ষককে রীতিমত লাথি, কিল, চড় ও ঘুষি মারে বলে অভিযোগ।
হামলার জেরে প্রধান শিক্ষকের জামা ও ব্যাগ ছিঁড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা সেই গাড়িটিও ধাওয়া করে। স্কুলের বাকি শিক্ষকদের স্কুলেই তালাবদ্ধ রাখা হয়।
উল্লেখ্য ২০ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা ওই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বস্তাবন্দি দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, যারা মানুষ গড়ার কারিগর তারাই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটালে কী ভরসায় ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাব?
বীরভূমের রামপুরহাটে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় শ্যামপাহারী শ্রী রামকৃষ্ণ শিক্ষাপীঠের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ সাহাকে পুলিশের সামনেই মারধর করার অভিযোগ উঠল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।
পরে পুলিশ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপরেই স্কুলের সামনে রামপুরহাট-দুমকা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ আদিবাসীদের।
এদিন আর পাঁচটা দিনের মতো স্কুলে গিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক সন্দীপ সাহা। তাকে দেখেই তেড়ে গিয়ে মারধর শুরু করেন আদিবাসী সমাজের লোকজন।
পুলিশের সামনেই শুরু হয় মারধর। তাদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুলিশ অবশ্য আদিবাদীদের হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। আদিবাসীরা রামপুরহাট থেকে ঝাড়খণ্ডের দুমকা যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমকে এলাকা ছাড়া করেছে আদিবাসীরা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। তবে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল গ্রামে পৌঁছেছে।
সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী খুনে সিবিআই তদন্ত দাবি করল পরিবার। সেই সঙ্গে দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি জানাল বিজেপির প্রতিনিধি দলের কাছে।
প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট বীরভূমের রামপুরহাট থানার বারোমেশিয়া গ্রামের এক নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। সে স্থানীয় শ্যামপাহাড়ি শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষাপীঠের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। ওই স্কুলের শিক্ষক মনোজ কুমার পাল তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে খুন করে বলে অভিযোগ।
"মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ...", ভোট চুরির ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকে 'স্পষ্ট জবাব' নির্বাচন কমিশনের
এরপর তার দেহ তিন টুকরো করে সেচখালে ভাসিয়ে দেয়। ওই শিক্ষক আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীর দু টুকরো দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এখন পায়ের অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এতেই ক্ষেপে ওঠে আদিবাসী সমাজ। আজ ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। পরিবার বিজেপির প্রতিনিধি দলের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। ধ্রুব সাহা তাদের দাবি দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এরপরেই তারা রামপুরহাট থানায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us